শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪, ১০:৩০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
যৌতুকবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা সংক্রান্ত সমন্বয় কমিটির সভা রাশিয়ায় অভিবাসী হোস্টেলে আগুন, নিহত অন্তত ৮ পারিবারিক সম্পদে বোনদের অধিকারের ওপর গুরুত্বারোপ ভূমিমন্ত্রীর লালমনিরহাট রেলওয়ের জমিতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান বান্দরবানে কুকি-চিনের দুই সদস্য নিহত জোটের শরিক নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী ১২০ কি.মি গতিতে বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় রেমাল ১১ দফা দাবি না মানলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি নৌযান শ্রমিকদের ডিবি কার্যালয়ে কলকাতার তদন্ত সংশ্লিষ্ট স্পেশাল টিম ঋণের চাপে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হত্যা করেন আলী হোসেন চূড়ান্ত হচ্ছে নতুন কারিকুলামে মূল্যায়ন পদ্ধতি অভিবাসী কর্মীদের সুরক্ষিত রাখতে কাজ করছে সরকার : প্রতিমন্ত্রী বিএনপি ষড়যন্ত্র নির্ভর দল: নানক সহকারী কর কমিশনারের বিরুদ্ধে ২ কোটি টাকার দুর্নীতি মামলা গণমাধ্যমে শৃঙ্খলা আনার কাজ করা হচ্ছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী আনারের খুনিদের প্রায় চিহ্নিত করে ফেলেছি : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জনগণ ছাড়া এককভাবে মশা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয় : তাজুল ইসলাম এমপি আনার হত্যার তদন্তে দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকলেও কিছু জায়গায় বৃষ্টির আভাস চার্জার লাইটের ভেতরে ৫ কোটি টাকার সোনা, ২ বিদেশি গ্রেপ্তার

প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের নামে প্রতারণার মামলায় এফআরটি

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ৩ জুলাই, ২০১৮
  • ১৫৭ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারের নামে প্রতারণা করে মোট ১৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় পুলিশের দাখিল করা ফাইনাল রিপোর্ট (এফআরটি) গ্রহণ করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম মো. খুরশীদ আলম এই এফআরটি গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তার মামলার সুপারিশ নাকচ করা হয়েছে। রমনা থানার ইন্সপেক্টর মো. সফিকুল ইসলাম মামলাটি তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় ওই এফআরটি দাখিল করেন।

আদালত সূত্র জানায়, রাজশাহী জেলার বাঘমারা মোহনপুর থেকে দুইবার নির্বাচিত সাবেক এমপি মো. আবু হেনা বাদী হয়ে গত বছরের ২৩ জুলাই রাজধানীর রমনা মডেল থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৫ সালে আসামি মো. কামরুল হাসান সুজন জানায় যে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে হেনার মনোনয়ন নিশ্চিত।

২০০৮ সালে বিএনপি আমাকে মনোনয়ন না দেয়ায় এটা (আওয়ামী লীগের মনোনয়ন) সুখবর বলে মনে করেন হেনা। ইতোমধ্যেই ভ্যাট সংক্রান্ত জটিলতা দেখা দেয়ায় অর্থ উপদেষ্টার একটি নতুন সৃষ্টির কথা শোনা যায়।

সুজন জানায় যে, সুনামগঞ্জ থেকে একজনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের কর্মকর্তা হেনাকে ওই পদের জন্য উপযুক্ত বলে মনে করেন। এ সময় জাহাঙ্গীর নামক কথিত এপিএস ফোন করে এ ব্যাপারে সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের আগ্রহের কথা হেনাকে বলেন। এ পদ পেতে হেনা আগ্রহ প্রকাশ করে।

সেলিনা রহমান নামের একজন নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর পরিবারে সম্পৃক্ত পরিচয় দিয়ে হেনাকে ভাগ্যবান বলে সম্মোধন করেন। তার সঙ্গেও মোবাইলে বহুবার কথা হয়।

তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী হেনাকে দেখা করতে বলেছেন। সাক্ষাতের প্রস্তুতি হিসাবে কয়েটি দামি শাড়ী কেনা হবে এবং সাক্ষাতের দিন শাড়ীগুলো হেনার হাত দিয়ে দেয়া হবে। তার কথার ওপর বিশ্বাস করে সুজনকে ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা দেয়া হয়। সব চূড়ান্ত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতের জন্য আরও ১৩ লাখ টাকার উপহার প্রয়োজন বলে জানায় সুজন।

৯ জুলাই ওই টাকাও দেয় হয় সুজনকে। এর পরের দিন সুজন জানায় যে সেলিনা রহমান অসন্তুষ্ট। তাকে সন্তুষ্ট করার জন্য ১৬ জুলাই সুজনের হাতে আরও ৩ লাখ টাকা দেয়া হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নাম ব্যবহার করে ‘হেনা আঙ্কেন’ সম্বোধন করে জানায় যে, তার এক বান্ধবীকে স্বর্ণালংকার উপহার দিতে ১০ লাখ টাকা লাগবে। পরের দিন জাহাঙ্গীরকে এ কথা জানানোর পর সে জানায় সকাল ৯টার মধ্যে ১০ লাখ টাকা লাগবে।

তাদের কথায় সন্দেহ হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় টাকা দেয়ার কথা বলে ২২ জুলাই সুজনকে আটক করা হয়। এভাবে তিন জন প্রতারক প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সম্মান হানীর জন্য সর্বমোট ১৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com