বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪, ০৭:৩১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
জোটের শরিক নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী ১২০ কি.মি গতিতে বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় রেমাল ১১ দফা দাবি না মানলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি নৌযান শ্রমিকদের ডিবি কার্যালয়ে কলকাতার তদন্ত সংশ্লিষ্ট স্পেশাল টিম ঋণের চাপে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হত্যা করেন আলী হোসেন চূড়ান্ত হচ্ছে নতুন কারিকুলামে মূল্যায়ন পদ্ধতি অভিবাসী কর্মীদের সুরক্ষিত রাখতে কাজ করছে সরকার : প্রতিমন্ত্রী বিএনপি ষড়যন্ত্র নির্ভর দল: নানক সহকারী কর কমিশনারের বিরুদ্ধে ২ কোটি টাকার দুর্নীতি মামলা গণমাধ্যমে শৃঙ্খলা আনার কাজ করা হচ্ছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী আনারের খুনিদের প্রায় চিহ্নিত করে ফেলেছি : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জনগণ ছাড়া এককভাবে মশা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয় : তাজুল ইসলাম এমপি আনার হত্যার তদন্তে দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকলেও কিছু জায়গায় বৃষ্টির আভাস চার্জার লাইটের ভেতরে ৫ কোটি টাকার সোনা, ২ বিদেশি গ্রেপ্তার ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ লেখা স্মার্ট কার্ড পেলেন মুক্তিযোদ্ধারা বাংলাদেশ ব্যাংক এখন সমবায় সমিতিতে পরিণত হয়েছে: ড. সালেহ উদ্দিন অসুস্থ শাহরুখ, যা জানালেন জুহি চাওলা নৌপথে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ প্রতিমন্ত্রীর কে এই শিলাস্তি? এমপি আনার কি তার সঙ্গেই ঢুকেছিলেন সেই ফ্ল্যাটে?

পুলিশ ফাঁড়ির ১৩ সদস্য প্রত্যাহার

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বুধবার, ১০ জানুয়ারী, ২০১৮
  • ৬৯ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, খুলনা প্রতিনিধি: খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলায় পুলিশ ফাঁড়ির ১২ কনস্টেবল ও এক এএসআইকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করায় তার ভাইকে মারধরের অভিযোগে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তারা খারাবাদ-বাইনতলা পুলিশ ফাঁড়িতে দায়িত্বরত ছিলেন।
মঙ্গলবার প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুলনা পুলিশ সুপার নিজামুল হক মোল্লা। এদিকে বটিয়াঘাটা থানার ওসি মোজাম্মেল হক মামুন বলেন, যৌন হয়রানির অভিযোগ সত্য নয়।
তবে এক ছাত্র পুলিশের সঙ্গে তর্ক করলে তার সঙ্গে এক কনস্টেবলের হাতাহাতি হয়। যুবকটিকে ফাঁড়িতে নিয়ে মারধরের অভিযোগ করা হলে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়।
কর্তৃপক্ষ ওই ফাঁড়ির ১৩ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার (ক্লোজ্ড) করে। স্থানীয় লোকজন এবং পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই যুবকের বোনকে এক পুলিশ সদস্য যৌন হয়রানি করে আসছিল। যুবকটি এর প্রতিবাদ করায় পুলিশ সদস্যরা তাকে ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে মারধর করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকার লোকজন দুপুরে ফাঁড়ি ঘেরাও করে।
পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আসার পর উত্তেজিত লোকজন শান্ত হয়। ছাত্রীর বাবা জানান, তার মেয়ে দশম শ্রেণীতে পড়ে। প্রতিদিন স্কুলে এবং কোচিংয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ ফাঁড়ির কয়েক সদস্য যৌন হয়রানি করত।
মঙ্গলবারও একই ঘটনা ঘটে। ছাত্রী বিষয়টি তার ভাইকে জানায়। ছাত্রীর ভাই ক্যাম্প ইনচার্জ এএসআই তারেকুজ্জামানকে বিষয়টি জানাতে যায়। ইনচার্জকে ক্যাম্পে না পেয়ে ফিরে আসে। পরে কনস্টেবল নাঈম, মামুন, রিয়াজ, আবির ও নায়েব জাহিদ বিষয়টি জানতে পেরে যুবকের দোকানে এসে ধরে ফাঁড়িতে নিয়ে যায় এবং মারধর করে। দোকানে ভাংচুরও চালায় তারা।
খবর পেয়ে স্থানীয়রা ফাঁড়ি ঘেরাও করে। নির্যাতনের শিকার যুবককে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মামলা করা হবে। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্কুলে যাওয়ার পথে ওই ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করে কনস্টেবল নাঈমসহ বেশ কয়েক পুলিশ সদস্য। ছাত্রী তার ভাইকে এ ঘটনা জানায়।
তার ভাই প্রতিবাদ করলে তাকে ফাঁড়িতে ধরে নিয়ে মারধর করা হয়। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাটি ওসিকে জানাই। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এলে বিক্ষুব্ধ জনতা শান্ত হয়।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com