বাংলা৭১নিউজ, এম.নাজিম উদ্দিন,পটুয়াখালী প্রতিনিধি: ২০১৮ সালের এস.এস.সি (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় কলেজের অধ্যক্ষ জাকির হোসেনের গাফেলতি ও দুর্নীতির শিকার হয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে না পারায় সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন পটুয়াখালীর সদরের মরিচবুনিয়া টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষার্থী মোসাঃ মারুফা ।
শুক্রবার রাত ৮টায় পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে জনাকীর্ণ এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ ও শংকার কথা জানায় মারুফা।
মারুফা তার বক্তব্যে বলে, আমার এস.এস.সি (ভোকেশনাল) পরীক্ষার প্রবেশপত্র পরীক্ষার প্রথমদিন ০১ ফেব্রুয়ারী সকালে মরিচবুনিয়া টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ জাকির হোসেন স্যার কর্তৃক প্রাপ্ত হয়ে প্রবেশ পত্রে আমার নাম মোসাঃ মারুফা স্থানে দোলা সাহা, আমার পিতা জাকির সিকদারের নামের স্থানে গৌতম সাহা ও আমার মাতার নাম মোসাঃ খাদিজা বেগমের স্থানে মুক্তা সাহা লেখা।
এ ঘটনা অধ্যক্ষ জাকির স্যারকে জানালে, সে ওই নাম বলে পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে বলে। আমি হলের নিয়ম-কানুনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ভুয়া নামের প্রবেশ পত্র দিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে পারি নাই।
সংবাদ সম্মেলনে মোসাঃ মারুফা জানায়, ২০১৫ সালে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী বিদ্যালয় হতে জেএসসি পাশ করে।
তার বাবা-মা’র স্বপ্ন মোতাবেক কারিগরি শিক্ষায় লেখাপড়া জন্য পটুয়াখালী সদর উপজেলার মরিচবুনিয়া টেকনিক স্কুল এন্ড কলেজে ভর্তি হয়্ । সাত কিঃমিঃ পথ আসা যাওয়া করে নিয়মিত শ্রেনী কক্ষে উপস্থিত হয়ে পড়া শুনা করার চেষ্টা করে আসছিল। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটিতে নিয়মিত পাঠ হত না।
ভর্তি হওয়ার পর নিবন্ধন হওয়ায় অন্য প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার সুযোগ না থাকায় নবম শ্রেনী বোর্ড সমাপনী পরীক্ষার ফরম পূরনের জন্য উক্ত প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মোঃ জাকির হোসেন স্যার চার হাজার টাকা নেন এবং ৩০.১০১৬ইং তারিখ নিবন্ধন কার্ড ও প্রবেশপত্র প্রদান করেন।
প্রবেশ পত্রে আমার নাম মোসাঃ মারুফা স্থানে দোলা সাহা, আমার পিতা জাকির সিকদারের নামের স্থানে গৌতম সাহা ও আমার মাতার নাম মোসাঃ খাদিজা বেগমের স্থানে মুক্তা সাহা লেখা দৃষ্টি গোচর হলে অধ্যক্ষকে ঘটনা জানালে, সে মারুফাকে ভুল প্রবেশপত্র ঠিক করে দিবে আম্বাস দিয়ে পরীক্ষা দিতে বলায় অনিচ্ছা সত্বেও শিক্ষা জীবনের চিন্তা করে পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে মারুফা।
প্রবেশ পত্র’র ভুল সংশোধনের জন্য অতিরিক্ত দুই হাজার টাকা ও প্রবেশ পত্র নিয়ে যায় অধ্যক্ষ। মারুফা জানায়, ২০১৭সনে ১০ম শ্রেনীর সমাপনী পরীক্ষার ফরম পূরনের জন্য বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ১,৫৫০/=টাকার পরিবর্তে তার কাছ থেকে ফরম পূরনের জন্য চার হাজার টাকা এবং ভুল সংশোধনের জন্য পুনঃরায় আরও দুই হাজার টাকা নেয় অধ্যক্ষ জাকির হোসেন।
কিন্তু ভুল সংশোধন না করে পরীক্ষার প্রথমদিন ০১.০২.১৮ইং তারিখ সকালে ৎংন।াভড ভুল প্রবেশপত্র দেয়। সকাল ৯টায় ভুল প্রবেশপত্র’র ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ও জেলা এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসারগণের কাছে সুবিচার প্রার্থনা করলে তারা মারুফাকে বিচারের আশ্বাস দেন।
সংবাদ সম্মেলনে মারুফা আরও জানায়, অধ্যক্ষ জাকির হোসেন, খাসের হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ট্রেড ইন্সট্রাক্টর পদে চাকুরীরত অবস্থায় ২০১৪সালে ভুয়া নিবন্ধন, অর্থ আত্মসারে অভিযোগে বিদ্যালয় থেকে তাকে বহিস্কার করে।
তিনি গত ২০১৬ইং সালে তার প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপনের জন্য সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষর জ্বাল করে কারিগরী শিক্ষাবোর্ডে প্রতিবেদন দাখিল করেন এবং কেন্দ্র অনুমোদন লাভ করে। পরবর্তীতে উক্ত জ্বাল জালিয়াতি প্রমানিত হওয়ায় তাৎক্ষনিক তার কেন্দ্র বাতিল করে কর্তৃপক্ষ।
সংবাদ সম্মেলনে মারুফাসহ স্বজনরা শিক্ষা মন্ত্রীর কাছে তার (মারুফার) শিক্ষা জীবন ধ্বংস করার এবং উল্লেখিত অনৈতিক কর্মকান্ডের হোতা অধ্যক্ষ জাকির হোসেনের বিচারদাবী করেন।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস