বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: শুরু আর শেষে কী আকাশ-পাতাল তফাত! ধীরস্থির এক শুরু, পরে এক লঙ্কাকাণ্ড। যেখানে অবিসংবাদিত নায়ক তামিম ইকবাল। আর মার খেলেন সাকিব-রুবেলরা! বিপিএলের ফাইনালকে রাঙানোর পথে ঢাকা ডায়নামাইটসের বোলারদের পিটিয়ে ছাতু করেছেন ঝড়ো সেঞ্চুরি করা তামিম।
ষষ্ঠ বিপিএলের ফাইনালে তামিম ঝড়ই দেখেছে দর্শকরা। তামিম ৫০ বলে শতক ছুঁয়ে শেষপর্যন্ত অপরাজিত ৬১ বলে ১৪১! বাঁহাতি ওপেনারের তাণ্ডবে ঢাকাকে ঠিক ২০০ রানের বিশাল লক্ষ্য দিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস।
মিরপুরের রহস্যময় উইকেটে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করাকেই শ্রেয় মনে করে বোলিং বেছে নেন ঢাকা অধিনায়ক সাকিব। দ্বিতীয় ওভারে কুমিল্লা ওপেনার এভিন লুইসকে ৬ রানে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে সাকিবকে স্বস্তি দেন রুবেল হোসেন।
লুইসকে হারানোর পরই সাবধানী হয়ে যান আরেক ওপেনার তামিম। এনামুল হককে নিয়ে এগোতে থাকেন ধীরে।প্রথমে আস্তে চললেও পরে রীতিমতো দৌড়েছেন দুজনে। বিশেষ করে তামিম। সাকিবের করা ষষ্ঠ ওভারে টানা দুই চার মেরে শুরু করেন ঝড়। ৩১ বলে তুলে নেন এবারের বিপিএলে নিজের তৃতীয় ফিফটি।
তামিম তার মতো থাকলেও বিপত্তি বাধান অপরপ্রান্তের ব্যাটসম্যানরা। ১২তম ওভারে এনামুলকে আউট করে ৮৯ রানের জুটি ভাঙেন সাকিব। গড়েন বিপিএলের এক আসরে সর্বোচ্চ ২৩ উইকেট নেয়ার রেকর্ড।
পরের ওভারে ভুল বোঝাবুঝিতে কোনো রান না করেই সাজঘরে ফেরেন কুমিল্লার ফর্মে থাকা ব্যাটসম্যান শামসুর রহমান শুভ। ১ উইকেটে ৯৮ রানে থাকা কুমিল্লা এক রানের ব্যবধানে হারায় দুই ব্যাটসম্যানকে। খানিকটা বিপদ তখন।
কিন্তু সব ক্ষয়-ক্ষতি পুষিয়ে দেয়ার জন্য থেকে গেলেন তামিম। বল দেখতে লাগলেন ফুটবলের মতো সাইজে! যেখানেই মারতে চেয়েছেন, কথা শুনেছে ব্যাট। মাঠের সবখানেই খেলেছেন চোখজুড়ানো সব শট। ৩১ বলে পেয়েছিলেন প্রথম ফিফটি, পরের ফিফটি পেলেন মাত্র ১৯ বলে। ঠিক ৫০ বলে সেঞ্চুরি।
সেঞ্চুরির পরেও থামানো যায়নি তামিম ঝড়। আরও বেড়েছে। শেষ ১১ বল খেলে নিয়েছেন আরও ৪১ রান। এই ১৪১ রানের মধ্যে ১০৬ রানই তামিম করেছেন বাউন্ডারি থেকে। যাতে ১০ চারের সঙ্গে এসেছে বিশাল ১১টি ছক্কার মার। বিপিএলের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস এটি। অল্পের জন্য গেইলের ১৪৬ টপকে যাওয়া হয়নি।
বাংলা৭১নিউ/এসএইচ