শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫, ০৪:৫১ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা শেখ মুজিব জাতির পিতা নন, স্বাধীনতা অর্জনে তার ত্যাগকে স্বীকার করি: নাহিদ ইসলাম ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন, কোনো শক্তি বিলম্বিত করতে পারবে না খালেদা জিয়াকে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা ইউক্রেন ইস্যুতে চুক্তি করতে প্রস্তুত পুতিন: ডোনাল্ড ট্রাম্প বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে ৫০তম শাহাদাতবার্ষিকী আজ রাজশাহীতে একই পরিবারের ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার বিচার ও সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে পুরোনো সমস্যা ফিরবে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকরা স্থানীয় শ্রমিকদের মতো সুবিধা পাবেন দুদক সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব ১-২ মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন : আসিফ নজরুল

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে ৫০তম শাহাদাতবার্ষিকী আজ

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৫
  • ১৭ বার পড়া হয়েছে

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সেনাবাহিনীর একদল কর্মকর্তা ও সৈনিকের হাতে সপরিবারে জীবন দিতে হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতা ও তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তার পরিবারের ছয় বছরের শিশু থেকে শুরু করে অন্তঃসত্ত্বা নারীও সেদিন ঘাতকের গুলি থেকে রেহাই পায়নি। আজ তার ৫০তম মৃত্যুবার্ষিকী।

বঙ্গবন্ধু হত্যার ২১ বছর পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর হত্যাকারীদের বিচার শুরু হয়। 

প্রায় ৪৯ বছর আগে ধানমন্ডি ৩২-এ বঙ্গবন্ধু ভবনেই ঘাতকরা হানা দিয়েছিল। তিনি ছাড়াও তার স্ত্রী বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, তিন ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, শেখ কামালের স্ত্রী সুলতানা কামাল, শেখ জামালের স্ত্রী রোজী জামাল, তার ছোট ভাই শেখ নাসেরকে হত্যা করে।

সেই রাতেই নিহত হন তার বোনের স্বামী আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছেলে আরিফ, মেয়ে বেবী ও শিশুপুত্র সুকান্ত বাবু; বঙ্গবন্ধুর ভাগনে যুবনেতা শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণি, নিকটাত্মীয় শহীদ সেরনিয়াবাত ও রিন্টু।

পুলিশের বিশেষ শাখার সাব ইন্সপেক্টর সিদ্দিকুর রহমান ও ভবনের অদূরে নিরাপত্তা কর্মকর্তা কর্নেল জামিলকেও গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দেশের বাইরে থাকায় সে সময় প্রাণে বেঁচে যান। তাকে জন্মস্থান গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় দাফন করা হলেও পরিবারের অন্য সদস্যদের ঢাকার বনানি কবরস্থানে দাফন করা হয়।

১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসন অবসানের পর পূর্ব পাকিস্তানে ছাত্রলীগ গঠনের মাধ্যমে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনায় আসেন তিনি।

এরপর বাহান্নর ভাষা আন্দোলন, চুয়ান্নর যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন ও ছেষট্টির ছয় দফা প্রণয়নে ভূমিকা রেখে এবং ১৯৬৮ সালে তথাকথিত আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার প্রধান আসামি হিসেবে শেখ মুজিব বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা হয়ে ওঠেন।

আওয়ামী লীগের শাসনের সময় তার মৃত্যুর এই দিনে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে পালন করা হতো। আগস্ট মাসজুড়েই শোকের মাস হিসেবে পালন করা হতো নানা কর্মসূচি। তবে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর ভিন্ন রাজনৈতিক বাস্তবতায় দিনটি পালন করতে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক শক্তিও দৃশ্যমান নয়।

বাংলা৭১নিউজ/এসএকে

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2018-2025
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com