ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজার তিনটি এলাকায় প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সামরিক অভিযান স্থগিত রাখার ঘোষণা দিয়েছে। মানবিক সহায়তা সহজতর করতেই এই ‘কৌশলগত বিরতি’ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা।
রোববার (২৭ জুলাই) স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয় এবং পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত তা প্রতিদিন চালু থাকবে। যেসব এলাকায় সামরিক তৎপরতা বিরত রাখা হবে সেগুলো হলো—মুওয়াসি, দেইর আল-বালাহ এবং গাজা শহরের কিছু অংশ।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, খাদ্য, ওষুধসহ জরুরি সহায়তা সরবরাহে সহায়তার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া গাজাজুড়ে নিরাপদ রুট নিশ্চিত করে ত্রাণ সরবরাহ সহজ করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে তারা।
তবে সেনারা সরাসরি এসব এলাকায় না থাকলেও সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে মুওয়াসি, দেইর আল-বালাহ ও গাজা শহরে ইসরায়েলি হামলা এবং সংঘর্ষ হয়েছে বলে জানাচ্ছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।
এই ঘোষণা এসেছে এমন এক সময়ে, যখন গাজায় বেসামরিক মানুষের পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে বলে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ বাড়ছে।
গত ২ মার্চ যুদ্ধবিরতি আলোচনার ভেঙে পড়ার পর ইসরায়েল গাজায় পূর্ণ অবরোধ আরোপ করে। তবে মে মাসের শেষদিকে সীমিত আকারে ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দেয়। সর্বশেষ শনিবার (২৬ জুলাই) সাতটি ত্রাণ প্যাকেজ পাঠানোর ঘোষণা দেয় ইসরায়েল। এর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাত জানিয়েছিল, তারা ত্রাণ সরবরাহ আবার শুরু করবে। যুক্তরাজ্যও জর্ডানসহ বিভিন্ন অংশীদারের সঙ্গে কাজ করার কথা বলেছে।
এই ঘোষণার আগেই ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স সংস্থা জানায়, শনিবার গাজায় ইসরায়েলি হামলা ও গুলিতে ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের অনেকে ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে সহায়তা নিতে অপেক্ষা করছিলেন।
একই দিনে ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের অ্যাকটিভিস্টদের একটি নৌকা গাজার দিকে ত্রাণ নিয়ে অগ্রসর হলে ইসরায়েলি সেনারা সেটি জব্দ করে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বলছে, গাজায় শিশুদের মধ্যে অপুষ্টি আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে।
সূত্র: ইউএনবি
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ