অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, এ দেশের রাজনীতিবিদ-আমলা কেউই কিন্তু চান না দুর্নীতির অবসান হোক।
তিনি বলেন, অপচয়, দুর্নীতি ও অদক্ষতা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান অন্তরায়। পানির উৎস থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে কেবল একজন মন্ত্রীর সুবিধার জন্য বিদ্যুৎকেন্দ্র বানানো হয়েছে। অপ্রয়োজনে রাস্তা করা হয়েছে, অব্যবস্থাপনায় রাষ্ট্রীয় অর্থ নষ্ট হয়েছে। অপচয়ের পরিসীমা নেই। এসব যেন ভবিষ্যতে আর না ঘটে, সেদিকে নজর দেওয়া হচ্ছে।
আজ শনিবার রাজধানীতে সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমিতির বাজেটসংক্রান্ত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সমিতির আহ্বায়ক মাহবুব উল্লাহ। দেশের অর্থনীতিবিদরা এ আলোচনায় অংশ নেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের অবস্থান প্রসঙ্গে ফাওজুল কবির বলেন, ‘আমরা আত্মীয়স্বজনকে নিয়োগ না দিয়ে, ব্যবসা সুবিধা না দিয়ে এমন একটি দৃষ্টান্ত রেখে যেতে চাই, যা ভবিষ্যতের জন্য ইতিবাচক উদাহরণ হবে।’
বিদ্যুৎ খাত নিয়ে তিনি বলেন, নিজস্ব গ্যাসের মজুত কমে আসায় এখন আমদানি করা এলএনজি–নির্ভরতা বাড়ছে। এতে সরকারকে বড় অঙ্কের ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে সব সরকারি ভবনে সৌরবিদ্যুৎ স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা সম্ভব।
তিনি বলেন, ছাদে সৌর প্যানেল বসিয়ে বেসরকারি খাত থেকেও অন্তত দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সুযোগ রয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ