জানা গেছে, সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বজ্রমেঘ তৈরি হচ্ছে। তবে পটুয়াখালীর উপকূলীয় এলাকায় গত চার দিন থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি থেকে মাঝারি আবার কোথায়ও ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।
শুক্রবার (২০ জুন) বিকাল ৩টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় মোট বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৮২. ৪ মিলিমিটার। এতে জনজীবনে চরম দুর্ভোগ নেমে এসেছে। অতি বৃষ্টির কারণে কুয়াকাটার পর্যটকদের বেশিরভাগ হোটেলে রুম বন্দি। অনেকে বৃষ্টিতে ভিজে আবার ছাতা নিয়ে সৈকতে নামলেও নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা সময় পার করছেন হোটেল কক্ষে।
এদিকে উপকূলীয় এলাকায় অতিভারী বৃষ্টিসহ দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার শংকা করছে আবহাওয়া অফিস। তাই পটুয়াখালীর পায়রাসহ দেশের সব সমুদ বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। মাছধরা ট্রলার সমূহকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
বরিশাল থেকে আসা পর্যটক সাকিব জানান, শুক্রবার তাই পরিবার নিয়ে কুয়াকাটায় হোটেল সাউথ স্টারে উঠেছি। পরিবারের ছোট-বড় সবাইকে নিয়ে এসেছি। কিন্তু বৃষ্টির কারণে এমনভাবে আটকে পড়েছি যে রুম থেকেই বেরই হতে পারছি না। খাবার রুমে এনে খেয়েছি। দুএকজন ছাতা নিয়ে বের হলেও মোটামুটি সবাই রুমে বন্দী।
সৈকতে ডাব-চা বিক্রেতা মো. নুর মোহাম্মদ বলেন, সপ্তাহের অন্যান্য দিন বিক্রি মোটামুটি হলেও শুক্রবার অনেক ভালো বিক্রি হয়। কিন্তু আজকে বৃষ্টি বেশি। ফলে পর্যটকরা সৈকতে নামতে পারছে না। তাই বেচা-বিক্রি অনেক কম।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, বৈরী আবহাওয়ায় সমুদ্র উত্তাল তাই বারবার মাইকিং করে সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হচ্ছে। যারা নেমেছে তাদেরকেও কাছাকাছি থাকতে বলা হচ্ছে। অতিবৃষ্টির কারণে পর্যটক কম।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ