এপ্রিল মাসে জাপানে মূল্যস্ফীতি বিগত দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। দেশটিতে চালের দাম বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। এর জেরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর আরও সুদের হার বৃদ্ধির জন্য চাপ বাড়ছে, বিশেষ করে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে।
এই পরিস্থিতিতে ভীষণ রাজনৈতিক চাপে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা। কেননা, জুলাই মাসের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তার আগে এই উচ্চ মূল্যস্ফীতি অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে যখন একজন মন্ত্রী চাল নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে পদত্যাগে বাধ্য হয়েছেন এবং সরকারকে জরুরি মজুত থেকে চাল ব্যবহার করতে হচ্ছে।
তাজা খাদ্য বাদ দিয়ে এপ্রিল মাসে জাপানের কোর ইনফ্লেশন ৩ দশমিক ৫ শতাংশে পৌঁছেছে। যা ২০২৩ সালের জানুয়ারির পর সর্বোচ্চ এবং মার্চ মাসের ৩ দশমিক ২ শতাংশ থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।
তাছাড়া বার্ষিকভিত্তিতে চালের দাম ৯৮ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে। যা আগের মাসের তুলনায় সামান্য বেশি।
জাপানিদের দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের এই মূল্যবৃদ্ধি এখন সরকারের জন্য বড় একটি সংকটে পরিণত হয়েছে। গত বছর সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানো সরকারের জন্য জনপ্রিয়তা অর্জন করাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।
মূল্যবৃদ্ধির পেছনে যেসব কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ২০২৩ সালের প্রচণ্ড গরমে খারাপ ফসল এবং গত বছরের একটি মেগা ভূমিকম্প সতর্কতার পর সৃষ্ট আতঙ্কে ব্যাপক মজুত।
রেকর্ড সংখ্যক পর্যটক আগমনের ফলে চালের চাহিদা বেড়েছে বলেও মনে করা হচ্ছে এবং কিছু ব্যবসায়ী চাল মজুত করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
সূত্র: ব্লূমবার্গ, এএফপি
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ