এবার চীনের মধ্যস্থতায় সম্পর্ক উন্নয়নে পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠায় সম্মত হয়েছে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান।
একইসঙ্গে দুই দেশ পরস্পরের রাজধানীতে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করতেও সম্মত হয়েছে।
এটিকে উভয় দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি বলে মনে করা হচ্ছে।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে এই ঐকমত্য আসে বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত চীন-পাকিস্তান-আফগানিস্তানের ত্রিপক্ষীয় এক অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে, যেখানে তিন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা অংশ নেন।
বৈঠকটি ছিল চীনের বৃহত্তর আঞ্চলিক শান্তি ও সংযোগ নীতির অংশ, যা বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই)-এর মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে স্পষ্ট আগ্রহ দেখিয়েছে এবং যত দ্রুত সম্ভব রাষ্ট্রদূত বিনিময়ে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে। চীন এটিকে স্বাগত জানায় এবং এ সম্পর্ক উন্নয়নে সহায়তা অব্যাহত রাখবে।
এদিকে বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—চীন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর (সিপিইসি) প্রকল্পটি আফগানিস্তানে সম্প্রসারণে তিন দেশই সম্মত হয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে চীনের পশ্চিমাঞ্চল, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য ও অবকাঠামোগত সংযোগ জোরদার হবে।
প্রসঙ্গত, তালেবান ২০২১ সালে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর এখনও কোনো দেশ তাদের সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে চীন, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ও রাশিয়াসহ কয়েকটি দেশ কাবুলে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করেছে এবং তালেবান নিয়োগকৃত রাষ্ট্রদূতদের নিজেদের দেশেও স্বাগত জানিয়েছে।
এর বিপরীতে, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান এখনও একে অপরের রাজধানীতে কেবল ‘চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স’ (অস্থায়ী কূটনীতিক) নিয়োগেই সীমাবদ্ধ ছিল।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ