শনিবার, ২৫ মে ২০২৪, ০৬:২০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
যৌতুকবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা সংক্রান্ত সমন্বয় কমিটির সভা রাশিয়ায় অভিবাসী হোস্টেলে আগুন, নিহত অন্তত ৮ পারিবারিক সম্পদে বোনদের অধিকারের ওপর গুরুত্বারোপ ভূমিমন্ত্রীর লালমনিরহাট রেলওয়ের জমিতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান বান্দরবানে কুকি-চিনের দুই সদস্য নিহত জোটের শরিক নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী ১২০ কি.মি গতিতে বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় রেমাল ১১ দফা দাবি না মানলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি নৌযান শ্রমিকদের ডিবি কার্যালয়ে কলকাতার তদন্ত সংশ্লিষ্ট স্পেশাল টিম ঋণের চাপে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হত্যা করেন আলী হোসেন চূড়ান্ত হচ্ছে নতুন কারিকুলামে মূল্যায়ন পদ্ধতি অভিবাসী কর্মীদের সুরক্ষিত রাখতে কাজ করছে সরকার : প্রতিমন্ত্রী বিএনপি ষড়যন্ত্র নির্ভর দল: নানক সহকারী কর কমিশনারের বিরুদ্ধে ২ কোটি টাকার দুর্নীতি মামলা গণমাধ্যমে শৃঙ্খলা আনার কাজ করা হচ্ছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী আনারের খুনিদের প্রায় চিহ্নিত করে ফেলেছি : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জনগণ ছাড়া এককভাবে মশা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয় : তাজুল ইসলাম এমপি আনার হত্যার তদন্তে দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকলেও কিছু জায়গায় বৃষ্টির আভাস চার্জার লাইটের ভেতরে ৫ কোটি টাকার সোনা, ২ বিদেশি গ্রেপ্তার

‘মুচি জসিম’র গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শুক্রবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
  • ১২১ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, গাজীপুর প্রতিনিধি: গাজীপুরে ১৭ মামলার পলাতক আসামি ও কালিয়াকৈরের মানুষের কাছে মূর্তিমান আতঙ্ক জসিম ইকবাল ওরফে ‘মুচি জসিমের’ (৩৮) গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার সকালে জেলার কাপাসিয়া উপজেলার রায়েদ ইউনিয়নের ভুলেশ্বর এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

কাপাসিয়া থানার ওসি মো. আবু বকর ছিদ্দিক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, ১৭ মামলার পলাতক আসামি জসিম দীর্ঘদিন ধরে গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেনি। সম্প্রতি কিছু দিন ধরে পলাতক ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার বিকেলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে বলে এলাকায় খবর ছড়িয়ে পড়ে। তবে পুলিশ জসিমকে গ্রেফতারের কথা স্বীকার করেনি।

এদিকে জসিম গ্রেফতারের ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে কালিয়াকৈর এলাকায় স্থানীয়রা আনন্দ মিছিল বের করেন এবং মিষ্টি বিতরণ করেন। মুচি জসিম নিহতের খবরে এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

অপরদিকে জসিম ইকবাল ওরফে মুচি জসিম পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নাকি সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন সে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

তবে গাজীপুরের পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ওই এলাকায় গোলাগুলির শব্দ শুনতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে জানায়। পুলিশ সেখানে গেলে টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এ সময় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওই যুবককে পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে দু’দল সন্ত্রাসীর মধ্যে ওই গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।

উল্লেখ্য, কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর গ্রামের মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে জসিম ইকবাল ১৫ থেকে ২০ বছর আগে কালিয়াকৈরের চন্দ্রা এলাকায় এসে জুতা তৈরির একটি কারখানায় পিয়ন পদে চাকরি নেন। এর আগে কিছুদিন টোকাইয়ের কাজও করেন। পরবর্তীতে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নিজেই জুতা বানিয়ে ওই কোম্পানিতে সরবরাহ করতে শুরু করেন তিনি। এজন্য এলাকায় মুচি জসিম নামে তার পরিচিতি রয়েছে।

তিনি সরকারি বন বিভাগের ৩০০ বিঘা জায়গা দখল করে বন কেটে গড়ে তুলেছেন নতুন এক গ্রাম। আর এতেই সেই জসিম ইকবাল আজ শতকোটি টাকার মালিক। গাজীপুরের কালিয়াকৈরে তিনি ছিলেন এক মূর্তিমান আতঙ্ক।

জানা গেছে, একটি হত্যা মামলায় পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করতে গিয়ে গোটা জীবনটাই বদলে নিয়েছেন জসিম। তার কাছে যেন কেউই নিরাপদ নয়। স্বার্থের পরিপন্থী হলেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ওপর হামলে পড়তেন তিনি। একে একে ১৭টি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি হওয়া সত্তেও প্রকাশ্যেই তিনি ঘুরে বেড়াতেন।

তার কুকর্মের প্রতিবাদ করতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন অসংখ্য নিরীহ মানুষ। বাদ যাননি সরকারি কর্মকর্তাও।

২০১৫ সালের ২১ আগস্ট চন্দ্রায় জাতির পিতা কলেজ মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কালিয়াকৈর উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলামকে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। আর এই হত্যার ঘটনায় কপাল খুলে যায় মুচি জসিমের।

রফিকুল হত্যার আসামিদের ধরিয়ে দিতে থানা পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। অল্প সময়ের ব্যবধানে পুলিশের বিশ্বস্ততা অর্জনের সুযোগে হত্যা মামলায় আসামি করার ভয় দেখিয়ে এলাকার মানুষজনকে জিম্মি করে ফেলেন জসিম। তার সহযোগিতায় কালিয়াকৈর থানার পুলিশ ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করে। হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে কিছুই জানে না এমন মানুষজনকেও ধরে নিয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকে আর জসিম মধ্যস্থতা করে তাদের ছাড়িয়ে আনতেন। আর থানা থেকে ছাড়িয়ে নিতে তিনি প্রত্যেকের কাছ থেকে ১০-১৫ লাখ করে টাকা আদায় করতেন। সূত্র: জাগোনিউজ।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com