শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪, ০৪:৩৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
যৌতুকবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা সংক্রান্ত সমন্বয় কমিটির সভা রাশিয়ায় অভিবাসী হোস্টেলে আগুন, নিহত অন্তত ৮ পারিবারিক সম্পদে বোনদের অধিকারের ওপর গুরুত্বারোপ ভূমিমন্ত্রীর লালমনিরহাট রেলওয়ের জমিতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান বান্দরবানে কুকি-চিনের দুই সদস্য নিহত জোটের শরিক নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী ১২০ কি.মি গতিতে বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় রেমাল ১১ দফা দাবি না মানলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি নৌযান শ্রমিকদের ডিবি কার্যালয়ে কলকাতার তদন্ত সংশ্লিষ্ট স্পেশাল টিম ঋণের চাপে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হত্যা করেন আলী হোসেন চূড়ান্ত হচ্ছে নতুন কারিকুলামে মূল্যায়ন পদ্ধতি অভিবাসী কর্মীদের সুরক্ষিত রাখতে কাজ করছে সরকার : প্রতিমন্ত্রী বিএনপি ষড়যন্ত্র নির্ভর দল: নানক সহকারী কর কমিশনারের বিরুদ্ধে ২ কোটি টাকার দুর্নীতি মামলা গণমাধ্যমে শৃঙ্খলা আনার কাজ করা হচ্ছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী আনারের খুনিদের প্রায় চিহ্নিত করে ফেলেছি : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জনগণ ছাড়া এককভাবে মশা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয় : তাজুল ইসলাম এমপি আনার হত্যার তদন্তে দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকলেও কিছু জায়গায় বৃষ্টির আভাস চার্জার লাইটের ভেতরে ৫ কোটি টাকার সোনা, ২ বিদেশি গ্রেপ্তার

আশি বছর বয়সে শুটিং-এ বাজিমাত

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৭
  • ১২৩ বার পড়া হয়েছে
'শুটার দাদী' হিসেবে পরিচিত পারকাশি টোমার

বাংলা৭১নিউজ ডেস্ক: মানুষ যেখানে শেষ করে ‘দাদী’ সেখান থেকে শুরু করেছেন। ভারতের উত্তর প্রদেশের পারকাশি টোমার ৬০ বছর বয়সে প্রথমে বন্দুক হাতে নেন। বর্তমানে তাঁর বয়স ৮০ বছর।
সবাই তাকে ‘শুটার দাদী’ হিসেবে চেনে। তিনি এখন যৌতুক-বিরোধী ভূমিকায় নেমেছেন।
ভারতের উত্তর প্রদেশে যৌতুকের দাবীতে নারীদের হত্যার ঘটনা হরহামেশাই ঘটে। কিন্তু ‘দাদী’ যে গ্রামে বসবাস করেন সেখানে পরিস্থিতি ভিন্ন রকম।
সে গ্রামে কোন মেয়ের বিয়ের সময় যৌতুক চাওয়া হয় না। লোকে বলে, “যৌতুক চাইলে দাদী গুলি করে মারবে।”
‘শুটার দাদী’ কখনো স্কুলে যাননি। তাঁর কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই।তিনি গৃহস্থালি এবং কৃষিকাজ করতেন। কিন্তু তিনি নিজে তাঁর একটি আলাদা পরিচিতি তৈরি করতে চেয়েছিলেন।
সেজন্য ৬০ বছর বয়সে তিনি শুটিং-এর প্রতি আগ্রহী হয়েছিলেন।
একদিন তিনি তাঁর নাতনীদের সাথে শুটিং রেঞ্জে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়েই তাঁর আগ্রহ জন্মে।
এরপর টানা কয়েকদিন তিনি সেখানে যান এবং শুটারদের কৌশল দেখেন।
একদিন সেখানকার প্রশিক্ষকরা তাকে বন্দুক চালাতে বলেন। কয়েকটি লক্ষ্যবস্তু স্থির করে সেখানে নিশানা করতে বলেন প্রশিক্ষকরা।
তাঁর বন্দুক চালানো দেখে প্রশিক্ষকরা বলেন যে তিনি খুব ভালো করবেন। প্রশিক্ষকরা তাকে উৎসাহিত করেন।
“আমি ভেবেছিলাম মানুষ আমাকে দেখে হাসাহাসি করবে। কারণ আমার অনেক বয়স হয়েছে,” বলছিলেন পারকাশি টোমার।
এরপর তিনি গোপনে তার শুটিং প্রশিক্ষণ চালিয়ে যান।
হাতের ব্যালেন্স ধরে রাখার জন্য তিনি একটি পানির পাত্র একটানা হাতে ধরে রাখতেন।মানুষজন তাঁর দিকে তাকিয়ে হাসতো।
কিন্তু এখন তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত শুটার। বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে তিনি অনেক পদক লাভ করেছেন। বিভিন্ন টেলিভিশনে তাকে নিয়ে অনুষ্ঠানও তৈরি হয়েছে।
‘শুটার দাদীর’ সাফল্য দেখে অনেক নারী অনুপ্রাণিত হয়েছে।
একজন নারী শুটার বলেন, ” দাদীকে দেখে আমি অনুপ্রাণিত হই। আমার মনে হয়, তিনি যদি পারেন তাহলে আমিও পারবো।”
‘শুটার দাদীর’ লক্ষ্য তাঁর গ্রামে একটি আন্তর্জাতিক মানের শুটিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা। সূত্র : বিবিসি বাংলা।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com