বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পঁচাত্তরে যে শক্তি ষড়যন্ত্র করেছিল, সেই শক্তি এখনও ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।
তবে সব প্রতিকূল অবস্থা মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ তিনবার সরকার গঠন করেছে বলেই বাংলাদেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, একাত্তরে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতেই পঁচাত্তরের হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিল। এ ঘটনার মাধ্যমে বাংলাদেশে স্বাধীনতাবিরোধীদের পুনর্বাসন করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া সবাই ওই খুনিদের মদদ দিয়েছে, ভোট চুরি করে পার্লামেন্টে বসিয়েছে, তাদের নানাভাবে উৎসাহিত করেছে।
সভায় আওয়ামী লীগের সব সময় সঠিক রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেয়ার গুণের কথা তুলে ধরেন দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, একসময় ছয় দফা হবে না আট দফা হবে তা নিয়ে দলের মধ্যে তুমুল বিতর্ক হয়েছিল। পাকিস্তান থেকে দলের নেতারা আসলেন।
আওয়ামী লীগের একটা গুণ আছে- দলের তৃনমূল নেতারা সব সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু উঁচু মহলে গেলে একটু উল্টোপাল্টা হয়ে যায়।
তখন দেখেছি অনেক বড় বড় নেতারা আট দফার দিকে জোর দিচ্ছেন। কিন্তু মার একটাই কথা ছিলো উনি (বঙ্গবন্ধু) ছয় দফা দিয়ে গেছেন, এর বাইরে যাওয়া যাবে না।
তখন মায়ের পক্ষে ছিল পার্টির তৃনমূল কর্মী আর ছাত্রলীগ। পরে ২/৩ দিন মিটিংয়ের পরে সিদ্ধান্ত হয় ছয় দফাই থাকবে।
অনুষ্ঠানে শোকাবহ ১৫ আগস্টের সেই হত্যাযজ্ঞের স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ১৫ আগস্ট তারা কী করেছে- আমার মাকে তারা হত্যা করেছে।
আমার ভাই কামাল-জামালকে হত্যা করেছে। তাদের নবপরিনীতা বধূ সুলতানা-রোজীকেও হত্যা করেছে।
ছোট ১০ বছরের রাসেলকেওতো রেহাই দেয়নি। তাকেও তো তারা হত্যা করেছে।
একই দিনে আমার তিন ফুপুর বাড়িতে আক্রমণ করে পরিবারের সদস্যদের হত্যা করেছে। একই সময়ে তিনটি বাড়িতে আত্রমণ করে এই হত্যাযজ্ঞ তারা ঘটায়। যেন ওই বংশের কেউ না থাকে।
বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি থেকে সবাইকে শিক্ষা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দেশে অনেক রকম রাজনীতি হয়।
অনেকে রাজনীতি করে অর্থ সম্পদ বাড়িয়ে নিজের মান মর্যাদা বাড়িয়ে নেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু রাজনীতি করেছিলেন দেশের মানুষের জন্য।
মানুষ মন্ত্রিত্বের জন্য দলও ত্যাগ করেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু মন্ত্রিত্ব ত্যাগ করেছিলেন দলের জন্য। এটা সবার জন্য একটা শিক্ষার বিষয়।
সেই আদর্শ নিয়েইতো আমাদের তৈরি হতে হবে।
আগষ্টের শেষ দিনে জাতির পিতার ৪২তম শাহাদৎবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ছাত্রলীগ আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সংগঠনটির বার্ষিক প্রকাশনা ‘জন্মভূমি’র মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী।
ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস