সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
দুই নারী কর্মকর্তাকে কুপিয়ে সোনালী ব্যাংকের ৭ লাখ টাকা ছিনতাই বাংলাদেশ সফরে আসছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আইনের শাসনের বিকল্প নেই ময়মনসিংহ মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি ঢাকায় গ্রেফতার প্রাণী রক্ষায় আরও মানবিক হতে হবে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা রূপালী ব্যাংকে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস পালন শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদের ৩৮৪তম সভা অনুষ্ঠিত সাবেক মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার মারা গেছেন রেললাইনে উঠে গেছে তিস্তার পানি, দুর্ভোগ চরমে: লালমনিরহাট ধর্ষণ মামলায় আসামি হলেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ টি-টোয়েন্টিতে নতুন মুখ ২টি, ফিরলেন মিরাজ চট্টগ্রাম বন্দরে বিনিয়োগে আগ্রহী সংযুক্ত আরব আমিরাত সমবায় ব্যাংকের লকার থেকে ১২ হাজার ভরি সোনা গায়েব গত ২৪ ঘণ্টায় বছরের সর্বোচ্চ ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ৮ নেতানিয়াহুর ওপর হামলা, ইসরাইলজুড়ে বিমান পরিবহন বন্ধ ঘোষণা ৪০ লাখ শ্রমিক পাবে টিসিবির পণ্য, ১ অক্টোবর থেকে বিতরণ তারুণ্যের সামনে স্বৈরাচারের দানবীয় শক্তি খড়কুটোর মত ভেসে যায়: জিএম কাদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন উপদেষ্টা আসিফ পলিথিন বর্জনের কার্যক্রম ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে আমরা আগস্ট বিপ্লবের প্রতিফলন দেখতে চাই: মেজর হাফিজ

তারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে কি না সন্দেহ-প্রধানমন্ত্রী

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শুক্রবার, ১১ আগস্ট, ২০১৭
  • ১২৬ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: যারা মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদান অস্বীকার করে, তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় আদৌ বিশ্বাস করে কি না, সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার বিকেলে গণভবনে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে ভাষণে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দিলে ইয়াহিয়া খান শুধু বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তারই করেননি, ২৬ মার্চ ইয়াহিয়া খান যে ভাষণ দিয়েছিলেন, তাতে আর কারও কথা বলেননি। তিনি বঙ্গবন্ধুর কথাই বলেছেন। বঙ্গবন্ধুকেই দোষারোপ করেছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে প্রহসনমূলক বিচার করে ফাঁসির রায় সই পর্যন্ত করেছিলেন। কই, ইয়াহিয়া খান তো জিয়াউর রহমানকে চাকরিচ্যুত করেননি। বা তার কথা বলেননি। অন্য কারও কথাও বলে যাননি, একজনের কথা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর কথা। তাঁকেই বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব সময় একটা জিনিস আমরা বিশ্বাস করি এবং বলি, ‘আমাদের দেশে যার যার ধর্ম সে শান্তিতে পালন করবে। একমাত্র যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকে, তখনই দেশে আমরা সে রকম পরিবেশ রাখতে সমর্থ হই। সবাই সবার উৎসবে সমানভাবে শরিক হয়। এটাই আমাদের দেশের কালচার এবং নিয়ম।’
২০০১ সালে নির্বাচন-পরবর্তী এবং ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ওপর অত্যাচারের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সংখ্যালঘু শব্দটির পক্ষপাতি নয়। বাংলাদেশের নাগরিক হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান এবং মুসলমান যারাই হোক, সবাই সমান অধিকার নিয়ে বাস করবে। এখানে সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগুরুর কোনো প্রশ্নই ওঠে না। সবার সমান অধিকার রয়েছে এবং থাকবে—এটাই আমরা বিশ্বাস করি। আমাদের ধর্ম ইসলামে সব ধর্মের কথাই বলা আছে। আওয়ামী লীগ সব সময়ই আপনাদের পাশে রয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্গাপূজার সময় যেন সঠিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা হয়, ইতিমধ্যেই সে ধরনের নির্দেশ দেওয়া আছে।
শেখ হাসিনা বলেন, পূজার সময়ে মুসলমানরাও সহায়তা করে ও পাহারা দেয়। আবার বাংলাদেশে এ রকমও দৃষ্টান্ত সৃষ্টি হয়েছে যে ঈদের জামাতে যেন কোনো রকম জঙ্গি হামলা না হয়, সে জন্য হিন্দু ভলান্টিয়ার ভাইয়েরা পাহারা দেয়।
এর আগে জন্মাষ্টমী উদ্যাপন পরিষদ, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ এবং মহানগর পূজা উদ্যাপন পরিষদের নেতারা প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি জয়ন্ত সেন দীপু, জন্মাষ্টমী উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি দেবাশীষ পালিত, মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি ডি এন চট্টোপাধ্যায়, জন্মাষ্টমী উদ্যাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি রমেশ ঘোষ এবং জন্মাষ্টমী উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক চন্দন তালুকদারও বক্তব্য দেন।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com