রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১২:৫১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
কানে নজর কাড়লেন কিয়ারা ঢাকায় আসছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং লোন নিয়ে রিকশা কিনছি, এখন কিস্তি দেবো কি করে ট্রাম্পের মস্তিষ্ক বিকৃত, গণতন্ত্রের জন্য হুমকি বাইডেন মেসির ফেরার ম্যাচে শেষ মুহূর্তে জয় মিয়ামির ১১ বছর পর আরেক বাংলাদেশির এভারেস্ট জয় সৌদি গেলেন ২৮৭৬০ হজযাত্রী, আরও একজনের মৃত্যু ভিসা ছাড়াই রাশিয়ায় যেতে পারবেন ভারতীয়রা, চুক্তি চলতি বছরই ২য় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে মাঠে থাকছে ৬১৪ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাতীয় এসএমই পুরস্কার-২০২৩ পেলেন ৭ উদ্যোক্তা ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ১২১ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল স্বর্ণের দাম আরও বাড়ল এবার পোশাকে নায়িকাদের নাম ফুটিয়ে হাজির ভাবনা সোনালী আঁশের সুদিন ফিরিয়ে আনতে চাই: পাটমন্ত্রী অনিয়ম এড়াতে মোবাইল অ্যাপে চাল বিক্রি ৩০ দিনের মধ্যে শহীদ আনোয়ারা উদ্যান ফেরতের দাবি মাগুরায় রেলপথ শিগগিরই চালু হবে : রেলমন্ত্রী যিনি দেশ বিক্রি করতে চেয়েছিল আপনি তো ওনারই সন্তান হেফাজত নেতা মামুনুল হক ডিবিতে যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পুলিশ প্রস্তুত: আইজিপি

দুর্নীতি-বান্ধব বাজেট-টিআইবি

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ৬ জুন, ২০১৭
  • ৮৬ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের প্রস্তাবিত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটকে ‘দুর্নীতি-বান্ধব বাজেট’ হিসেবে উল্লেখ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এছাড়া মধ্যম ও ক্ষুদ্র আয়ের মানুষের ওপর করের বোঝা বাড়বে বলেও মত সংস্থাটির। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের করের অর্থে দুর্নীতিগ্রস্ত, জালিয়াতিতে জর্জরিত রাষ্ট্রীয় মালিকাধীন ব্যাংকিং খাতের অনৈতিক পুনর্মূলধনীকরণ, সীমিত মধ্যম ও ক্ষুদ্র আয়ের করদাতাদের ওপর বৈষম্যমূলক করারোপ, কালো টাকা বৈধতার অসাংবিধানিক সুযোগের ধারাবাহিকতা, মেগা প্রকল্পে ব্যয় নিয়ন্ত্রণ হ্রাসে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনাহীন বাজেট দুর্নীতির প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ করবে। এজন্য পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে টিআইবি।

বিবৃতিতে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ব্যাংকিং খাতে চলমান দুর্নীতি এবং অর্থ পাচার বন্ধে প্রস্তাবিত বাজেটে কোনো পদক্ষপের প্রস্তাব নেই। উল্টো দুর্নীতিগ্রস্ত রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকিং খাতে মূলধন বাবদ কর রাজস্ব হতে নতুন করে ২০০০ কোটি টাকা অর্থায়নের প্রস্তাব করা হয়েছে। যা জনগণের অর্থ আত্মসাতে দুর্নীতিকেই প্রতিপালন ও উৎসাহিত করা হয়েছে। শুধু তাই নয় স্পষ্টতই এটি ব্যাংকিং খাতে লুটপাট ও খেলাপী ঋণের সংস্কৃতি স্থায়ী ও প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের এক অশুভ উদ্যোগ তাও জনগণের অর্থেই।

তিনি বলেন, সীমিত ও স্বল্প আয়ের মানুষের সঞ্চয়ের ওপর অতিরিক্ত করারোপ করে তাদের জন্য বৈধ পথে সামান্যতম বাড়তি আয়ের পথও রুদ্ধ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বিত্তশালী ও ধনীদের তুলনায় মধ্যম ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য অতিরিক্ত প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ করের বোঝা চাপানো হয়েছে, যা একদিকে যেমন বৈষম্যমূলক, অন্যদিকে তেমনি যেকোন মাপকাঠিতেই রাজস্ব বৃদ্ধির টেকসই পন্থা হতে পারে না। এরূপ দুর্নীতি সহায়ক, অবিবেচনা প্রসূত ও অপরিণামদর্শী পথ থেকে সরে এসে জনবান্ধব রাজস্বনীতি অবলম্বন ও তা বাস্তবায়ন করতে হবে। রাজস্বের ভার নিরূপিত হতে হবে ক্রমবর্ধনশীলভাবে আয় ও সম্পদের ওপর, কর আদায়ের সহজতর পন্থার ওপর নয়।

তিনি বলেন, রাজস্ব কর্তৃপক্ষ প্রত্যাশিত পর্যায়ে করদাতার ব্যপ্তি প্রসারের মাধ্যমে আয়কর বৃদ্ধি করতে ব্যর্থ হয়ে ক্রমাগতভাবে মূসক নির্ভর হয়ে পড়ছে। মূসকের চূড়ান্ত বোঝা মধ্যবিত্ত, নিম্ন আয়ের বা সাধারণ জনগণের ওপর আরোপিত হতে বাধ্য, এর সাথে মূল্যস্ফীতি ও অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি যুক্ত হয়ে সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠায় অস্থিতিশীলতা ও ক্ষোভ বাড়বে।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com