বাংলা৭১নিউজ ডেস্ক: অনায়াসে ৩০৫ রান তাড়া করে জিতেছে ইংল্যান্ড। ১৬ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখে। যা চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে রেকর্ড রান তাড়া করে জেতার নতুন রেকর্ড।
ইনিংসের তৃতীয় ওভারে মোস্তাফিজের দুর্দান্ত ওই ক্যাচটিই শুধু ব্যতিক্রম। ওই ক্যাচের কাছাকাছি সময়েই শুধু কিছুক্ষণের জন্য মনে হয়েছিল, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি প্রত্যাবর্তন জয় দিয়েই করছে বাংলাদেশ। কিন্তু জেসন রয়ের ওভাবে আউট হওয়া ম্যাচে কোনো প্রভাবই ফেলল না। সাকিবসহ মাত্র ৪ মূল বোলারকে নিয়ে মাঠে নামা বাংলাদেশের দুর্বল বোলিংয়ের পুরো ফায়দা তুলে নিল ইংল্যান্ড। এ ম্যাচে বাংলাদেশের বোলিং থেকে সান্ত্বনা খুঁজতে গেলে, প্রায় দেড় যুগ আগের স্মৃতিতে ফিরতে হচ্ছে, প্রতিপক্ষের অন্তত এক ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরি আটকানো!
দুর্ভাগা ব্যাটসম্যানটির নাম অ্যালেক্স হেলস। ধীরে সুস্থে ইনিংস গড়ে আস্তে আস্তে খোলস ছেড়ে বের হতে শুরু করেছিলেন মাত্র। সাব্বির রহমানের লেগ স্পিন কাম অফ স্পিন বলে টানা দুই বলে চার-ছয় মেরে তৃতীয় বলটাতে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে আউট হয়েছেন সীমানায়। অবশ্য এর আগেই বাংলাদেশের সর্বনাশ লিখে ফেলেছেন তিনি। ৮৬ বলে ১১ চার ও ২ ছক্কায় তাঁর ৯৫ রানের ইনিংসই তো বাংলাদেশের ৩০৫ রানের পাহাড়কে টিলার রূপ দিয়ে দিল।
হেলস যখন আউট হলেন, জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের তখনো ১৪১ রান দরকার ছিল। বল ছিল ১৩২। কিন্তু জো রুট ও এউইন মরগান সেটা টের পেতে দিলে তো। একজন পরিপূর্ণ বোলারের অভাব যে বাংলাদেশ এর আগ থেকেই বোধ করতে শুরু করেছে! তবু ৩৬তম ওভারে একটু আশা ফিরে পেয়েছিল বাংলাদেশ। যখন লং অনে মরগানের একটি শট ঝাঁপিয়ে তালুবন্দী করলেন তামিম। কিন্তু ওটা আউট ছিল কিনা তা নিয়ে মাঠের আম্পায়ারের সন্দেহ টিভি আম্পায়ারও কাটাতে না পারায় লাভ হলো না কোনো। তখন ওই আউটটা হলে সমীকরণ দাঁড়াত ৮৬ বলে ১০২ রানে।
এমন অবস্থায় ম্যাচে ফিরতে হলে অবিশ্বাস্য কিছু করে দেখাতে হতো বাংলাদেশি বোলারদের। কিন্তু আগের ৩৫ ওভারে যা হয়নি, সেটা বাদবাকি সময়েও করা হয়নি। আজ দিনটা যে বোলারদেরই ছিল না। ম্যাচের কোনো মুহূর্তেই বাংলাদেশের বোলাররা কখনো আতঙ্ক ছড়াতে পারেননি। কখনো মনে হয়নি, একটু হলেও অস্বস্তিতে আছেন ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা। রুট (১৩৩*) ও মরগান (৭৫*) মিলে তাই ১১৬ বলে ১৪৩ রানের জুটি গড়ে নিলেন প্রায় অনায়াসে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস