জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। বিকেল ৫টায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়। তবে তাজউদ্দীন আহমদ হলে এখনো ভোটার উপস্থিত থাকায় ভোটগ্রহণ চলছে।
এদিকে ছাত্রদল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন বর্জনের পর ক্যাম্পাসে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে সতর্ক অবস্থান নিয়েছেন তারা।
এর আগে নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ এনে বিকেল ৪টার দিকে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন ছাত্রদল প্যানেলের জিএস প্রার্থী তানজিলা হোসাইন বৈশাখী।
এবারের নির্বাচনে মোট ১১ হাজার ৮৯৭ জন শিক্ষার্থী ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এর মধ্যে ছাত্র ৬ হাজার ১১৫ এবং ছাত্রী ৫ হাজার ৭২৮ জন। ভোটগ্রহণের জন্য ২১টি কেন্দ্রে ২২৪টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে।
ছাত্রদের হলের মধ্যে আল বেরুনী হলে ভোটার ২১০ জন, আ ফ ম কামালউদ্দিন হলে ৩৩৩, মীর মশাররফ হোসেন হলে ৪৬৪, শহীদ সালাম-বরকত হলে ২৯৮, মওলানা ভাসানী হলে ৫১৪, ১০ নম্বর ছাত্র হলে ৫২২, শহীদ রফিক-জব্বার হলে ৬৫০, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে ৩৫০, ২১ নম্বর ছাত্র হলে ৭৩৫, জাতীয় কবি নজরুল হলে ৯৯২ এবং তাজউদ্দীন আহমদ হলে ৯৪৭ জন ভোটার রয়েছেন।
ছাত্রীদের হলের মধ্যে নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলে ২৭৯ জন, জাহানারা ইমাম হলে ৩৬৭, প্রীতিলতা হলে ৩৯৬, বেগম খালেদা জিয়া হলে ৪০৩, সুফিয়া কামাল হলে ৪৫৬, ১৩ নম্বর ছাত্রী হলে ৫১৯, ১৫ নম্বর ছাত্রী হলে ৫৭১, রোকেয়া হলে ৯৫৬, ফজিলাতুন্নেছা হলে ৭৯৮ এবং তারামন বিবি হলে ৯৮৩ জন ভোটার রয়েছেন।
এবারের নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫ পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৭৭ জন প্রার্থী। নির্বাচনে বামপন্থি, শিবির, ছাত্রদল ও স্বতন্ত্রদের সমর্থিত মিলিয়ে মোট আটটি প্যানেল অংশগ্রহণ করছে। ছাত্রদের ১১টি ও ছাত্রীদের ১০টি হল মিলিয়ে মোট ২১ ভোটকেন্দ্র।
ভোটগ্রহণের জন্য ২১টি কেন্দ্রে ২২৪টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। নির্বাচনে ৬৭ জন পোলিং অফিসার (শিক্ষক) এবং ৬৭ জন সহায়ক পোলিং অফিসার (কর্মকর্তা) নিয়োগ করা হয়েছে। ভোটগ্রহণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে ভোট গণনা করা হবে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএন