সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ১২:১৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
ইসলামী ব্যাংকের সচেতনতা বিষয়ক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত ‘দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই’ বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্প্রসারণ করতে চায় কানাডা কুমিল্লায় বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু দূতাবাসগুলোর কার্যক্রম তদারকির নির্দেশনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর স্বাস্থ্যসেবার আওতাধীন খাতে ইউজার ফি আদায়ে নীতিমালার সুপারিশ ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে সরকার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সহজলভ্য উৎস খোঁজার তাগিদ প্রতিমন্ত্রীর বান্দরবানে বন্দুকযুদ্ধে ৩ কেএনএফ সদস্য নিহত সুইজারল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরেছেন স্পিকার জঙ্গিবাদ পুরোপুরি নির্মূল না হলেও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে: আইজিপি টেকসই উন্নয়নে সময়োপযোগী আর্থিক ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে ইশরাক ১৬ ভরি স্বর্ণ ছিনিয়ে পালানোর সময় জনতার হাতে ধরা পুলিশ কর্মকর্তা কঙ্গোতে সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টা বাবাকে খুঁজে পেতে ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপির মেয়ে ডিবিতে কালশী ট্রাফিক বক্সে আগুন দিলো অটোরিকশাচালকরা কমলাপুর আইসিডি’র নিয়ন্ত্রণ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়কে নিতে সুপারিশ ভোট কম পড়ার বড় ফ্যাক্টর বিএনপি : ইসি আলমগীর অভিবাসী কর্মীদের টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণে কাজ করছে সরকার

নির্বাচনকালীন ‘সহায়ক সরকার’ চান খালেদা জিয়া

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় সোমবার, ২ জানুয়ারী, ২০১৭
  • ৯৩ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করতে নির্বাচনকালীন ‘সহায়ক সরকার’ গঠনের দাবি তুলেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

রোববার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক ছাত্র সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এর আয়োজন করা হয়।

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনায় বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ইসি গঠন নিয়ে আমরা যে প্রস্তাব দিয়েছি রাষ্ট্রপতি তা পড়েছেন। এজন্য আমাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

‘আমরা বলেছি, শুধু নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ হলেই হবে না। এর পাশাপাশি একটি নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার দরকার। যারা নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা দেবে।’

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় দাবি করে বিএনপি প্রধান বলেন, তারা ক্ষমতা ছাড়তে আগ্রহী নয়। সেজন্য নতুন নতুন আইন করছে। বিএনপি নিরপেক্ষ ভোটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন চাইলেও আওয়ামী লীগ সেটি চায় না।

অতীতে দেশ ধ্বংসকারী সিদ্ধান্তের কারণে আওয়ামী লীগকে দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকতে হয়েছে মন্তব্য করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘এখনও তারা চিন্তা-ভাবনা করে পরিকল্পিতভাবে দেশকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। এজন্যই কি মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে?’

প্রতিনিয়ত গুম-খুন চলছে অভিযোগ করে এজন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে দায়ী করেন বিএনপি প্রধান। পুলিশ বাহিনীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আপনারা যে জেলারই মানুষ হোন না কেন আগে মনে রাখতে হবে আপনি বাংলাদেশি। ইউনিফর্মের মর্যাদা রাখুন। কথায় কথায় গুলি করা বন্ধ করুন। এভাবে একই দেশের মানুষ একজন আরেকজনকে কীভাবে গুলি করতে পারে? এরা কি বাংলাদেশি না অন্য দেশের? দেশের মানুষকে তা জানাতে হবে।’

বাংলাদেশে ভিনদেশের গোয়েন্দা বাহিনীর উপস্থিতি রয়েছে দাবি করে প্রাক্তন এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে অন্য দেশের কত সংখ্যক গোয়েন্দা আছে তা জনগণকে জানাতে হবে। এই দেশে অন্য দেশের গোয়েন্দা থাকতে পারবে না।’

ক্ষমতাসীনরা জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো এবং বাজে কথা বলছে অভিযোগ করে বিএনপি নেত্রী বলেন, ‘এতে আমরা কিছু মনে করি না। কারণ এর মাধ্যমে মানুষের কাছে প্রমাণ হচ্ছে তারা কোন প্রকৃতির মানুষ।’

নতুন বছরের ভালো কিছু প্রত্যাশা করলেও গণমাধ্যমে হত্যাকাণ্ড ছাড়া আর কিছু নেই বলেও এ সময় মন্তব্য করেন বিএনপি চেয়ারপারসন।

বড় প্রকল্পের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ কমিশন খাচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘পদ্মাসেতুসহ সব ধরনের প্রকল্পে প্রকল্প ব্যয় বাড়িয়েই চলেছে। দেশটাকে লুটেপুটে খাচ্ছে তারা। যে যেই প্রকল্প নিয়ে আসছে তাদের সেই প্রকল্প দিয়ে দিচ্ছে। এর মাধ্যমে বড় কমিশন নিচ্ছে তারা।’

সময়মতো আন্দোলনে নেমে বিএনপিকে আবারো ক্ষমতায় নেওয়ার কথা জানিয়ে প্রাক্তন এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এরশাদবিরোধী আন্দোলন করেছি, আমি তোমাদের সঙ্গে রাজপথে ছিলাম। এই বিএনপিকে তিনবার ক্ষমতায় এনেছি। ইনশাল্লাহ দলকে সুন্দর করে গুছিয়ে এনে এবং গ্রুপিং-লবিং নিরসন করে উপযুক্ত-যোগ্য তাদের নেতৃত্ব দিয়ে বিএনপি আবার ক্ষমতায় আসবে।’

ছাত্রদল নেতাকর্মীদের প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তোমাদের সেইভাবে নিজেদের তৈরি করতে হবে দেশটাকে রক্ষার জন্য, আগামী দিনে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য, গরিব-দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য আগামী দিনে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।’

সরকারের বিভিন্ন অন্যায়-অত্যাচার এবং অপরাধ-দুর্নীতির বিরুদ্ধে স্লোগান তৈরি ও পোস্টার করতে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বানও জানান খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, মানুষের কাছে গিয়ে এই সরকারের বিরুদ্ধে তাদের জাগাতে হবে।

বর্তমান সরকারের শাসনামলে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে গেছে দাবি করে তিনি বলেন, সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবস্থা খারাপ। শিক্ষা উপকরণের দাম নাগালের বাইরে। এগুলোর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে।

এর আগে বিকেল ৪টার দিকে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আসেন খালেদা জিয়া। লাল-সবুজ বেলুন এবং শান্তির প্রতীক সাদা পায়রা উড়িয়ে তিনি প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তিনি।

ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহসানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবুল কায়েল ভুইয়া, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, বিশেষ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম প্রমুখ।

বাংলা৭১নিউজ/বিএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com