বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১০:৩০ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
জুলাই সনদের খসড়ায় বিএনপির সায়, জামায়াত-এনসিপির দ্বিমত বাংলাদেশে ২৫ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে হংকংভিত্তিক হান্ডা বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় দফায় বাণিজ্য আলোচনা শুরু মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার নিশ্চিতে আমরা বদ্ধপরিকর : প্রধান উপদেষ্টা যুবসমাজ শুধু ভবিষ্যৎ নয়, আমাদের বর্তমান শক্তি একজনকে ৫৪ বছর ধরে পূজা করা হয়েছে: জাতির পিতা ইস্যুতে নাহিদ ইসলাম ঝাড়খণ্ডে বাস-ট্রাকের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ, ১৮ পুণ্যার্থী নিহত হাসিনার অডিওগুলো শুনলে দেখবেন এখনও সে প্রতিশোধপরায়ণ মানুষের নিরাপত্তা দিতে না পারলে কোনো সংস্কারই কাজে আসবে না : মির্জা ফখরুল বৃহস্পতিবারের মধ্যে জুলাই সনদের জায়গায় পৌঁছাতে পারব

মেঘনার পাসপোর্ট, মোবাইল, ল্যাপটপের ফরেনসিক রিপোর্ট তৈরির নির্দেশ

বাংলা৭১নিউজ ঢাকা:
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০২৫
  • ২১ বার পড়া হয়েছে

প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে রাজধানীর ধানমন্ডি থানার মামলায় আলোচিত মডেল মেঘনা আলমের পাসপোর্ট, মোবাইল ও ল্যাপটপসহ অন্যান্য জিনিসে রাষ্ট্রবিরোধী কোনো উপাদান আছে কি না তদন্তে ফরেনসিক রিপোর্ট তৈরি ও আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে জমা দিতে বলা হয়েছে।

একই সঙ্গে শুনানি শেষে আদালত আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে এসব জিনিস কেন মেঘনা আলমের জিম্মায় ফেরত দেওয়া হবে না তার কারণ দর্শানোর আদেশ দিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) এ আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালত।

মেঘনা আলমের জব্দকৃত জিনিসের মধ্যে রয়েছে, পাসপোর্ট, আইফোন-১৬ প্রো, ম্যাগবুক, অপো মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মেঘনা আলমের আইনজীবী মহিমা বাঁধন ও মহসিন রেজা। এ বিষয়ে মহিমা বাঁধন বলেন, মেঘনা আলম একজন লিডারশিপ ট্রেইনার। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য প্রায়ই তাকে দেশের বাইরে যেতে হয়।

এজন্য আমরা প্রথমে তার পাসপোর্টটি ফেরত দেওয়ার ওপর জোর দিয়ে আজ শুনানি করেছি। আদালত আগামী ৩১ আগস্টের মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে এসব জিনিসের ফরেনসিক রিপোর্ট তৈরি করতে এবং এসব জিনিস কি কারণে মেঘনা আলমের জিম্মায় ফেরত দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন আদালত।

এর আগে গত ১০ এপ্রিল বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়ে মডেল মেঘনাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে তার ৩০ দিনের আটকাদেশ বাতিল হয়েছিল। গত ১৭ এপ্রিল ধানমন্ডি থানার মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। পরে গত ২৮ এপ্রিল আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। পরদিন ২৯ এপ্রিল তিনি কারামুক্ত হন।

মামলায় অভিযোগ থেকে জানা যায়, মেঘনা আলম, দেওয়ার সমিরসহ অজ্ঞাতপরিচয়ের ২ থেকে ৩ জন একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা সুন্দরী মেয়েদের দিয়ে বাংলাদেশে কর্মরত বিভিন্ন বিদেশি রাষ্ট্রের কূটনীতিক, প্রতিনিধি ও দেশীয় ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করে। পরে সুকৌশলে তাদের সম্মানহানীর ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করে আসছে।

দেওয়ান সমির কাওয়াই গ্রুপ নামক একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সিইও এবং সানজানা ইন্টারন্যাশনাল নামক একটি ম্যানপাওয়ার প্রতিষ্ঠানের মালিক মর্মে জানা যায়। এছাড়া তার মিরআই ইন্টারন্যাশনাল ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড নামক একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল। বিভিন্ন আকর্ষণীয়, স্মার্ট মেয়েদেরকে তার প্রতিষ্ঠানে ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নিয়োগ দিয়ে বিদেশি কূটনীতিক ও ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের কাছে সহজে যাতায়াত নিশ্চিত করা ছিল তার উদ্দেশ্য।

বাংলা৭১নিউজ/এবি

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2018-2025
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com