শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:০০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
চাচাকে বাবা বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বিসিএস ক্যাডার! হাইকোর্টের নতুন রেজিস্ট্রার হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী লামায় অগ্নিসংযোগ: ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে উপদেষ্টা-প্রশাসন নসরুল হামিদের ৩৬ কোটি টাকার সম্পদ, অস্বাভাবিক লেনদেন ৩১৮১ কোটি তিন উপদেষ্টাকে বিপ্লবী হতে বললেন সারজিস আলম জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম ফায়ার ফাইটার নিহতের ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা কোরিয়া থেকে ৬৯৩ কোটি টাকার এলএনজি কিনবে সরকার সাভারে বন্ধ টিএমআর কারখানা চালুর নির্দেশনা উপদেষ্টার দুদকের সাবেক কমিশনার জহুরুল হকের দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু কনস্টাসকে ধাক্কা দেওয়ায় কোহলিকে আইসিসির শাস্তি শেখ হাসিনা-শেখ রেহানার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করার দাবি ফখরুলের ১১ বছর পর দেশে ফিরছেন ব্যারিস্টার রাজ্জাক যারা নির্বাচনকে বিতর্কিত করেছেন, তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিত প্রাণ এএমসিএলের ৩২ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন সেতু মন্ত্রণালয় থেকে বাদ যাচ্ছে ১১১৮৬ কোটি টাকার অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বিমানের সিটের নিচে মিলল ২০ সোনার বার, যাত্রী আটক ‘পিলখানা হত্যায় নিরপেক্ষ থেকে ষড়যন্ত্র চিহ্নিত করা হবে’ চোখের জলে এক বীরকে বিদায় দিল ফায়ার সার্ভিস

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়কে চিঠি: নামসর্বস্ব প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ আর নয়

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৬
  • ১৪৯ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ/সাখাওয়াত হোসেন বাদশা: পরিস্থিতি বদলেছে। এখন বাস্তবতার আলোকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাই আগের মত আর নামসর্বস্ব প্রকল্পে অর্থ চাইলেই দেয়া যাবে না- অর্থ মন্ত্রণালয়ের এমন অবস্থান জানিয়ে দেয়া হয়েছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়কে।

অনিয়ম ও অপব্যবহারের অভিযোগ এনে ইতোমধ্যেই অর্থমন্ত্রণালয় জরুরি ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য চাওয়া অতিরিক্ত ৪৩৮ কোটি টাকার ফাইলটি দু’দফা নাকচ করে দেয়ার পর তা অনুমোদন দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। তবে টাকার পরিমাণ কমিয়ে করা হয়েছে ৩৭২ কোটি টাকা।

২০১৬-১৭ অর্থ বছরে অনুন্নয়ন ও রাজস্ব খাত থেকে এ বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। তবে অন্যান্য প্রকল্পের জন্য রাজস্ব খাত থেকে অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ চেয়ে যে আবেদন জানিয়েছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, তা নাকচ করে দেয়া হয়েছে। মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে লেখা চিঠিতে অর্থ মন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়কে এখন বাস্তবতার নিরিখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

যেসব খাতে অতিরিক্ত বরাদ্দ চাওয়া হচ্ছে আদৌও এসব খাত অতিরিক্ত বরাদ্দ পেতে পারে কীনা- অর্থমন্ত্রী সেসব খাতে ব্যাপক সমীক্ষা চালানোর উপর গুরুত্বারোপ করেন। যদিও উন্নয়ন বাজেটে ‘নদী ড্রেজিং’ প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ নিশ্চিত করার বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের সাথে যোগাযোগ করতে বলেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

এদিকে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অনেক প্রকল্পের কাজের গতি একেবারেই মন্থর। নদী ভাঙন প্রতিরোধ কার্যক্রম, নদী তীর সংরক্ষণ কাজ, জিও ব্যাগ ডাম্পিং, ব্লক ডাম্পিং, ব্লক পিসিং, পাম্প হাউজ স্থাপন, ড্রেজিং, বাঁধ মেরামতসহ বিভিন্ন কাজ নিয়ে নানা সমালোচনা রয়েছে। সমালোচনা রয়েছে পাউবো’র টেন্ডার নিয়েও।

অর্থমন্ত্রণালয় ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) এসব কাজ নিয়ে মাঝে মধ্যেই ঊষ্মা প্রকাশ করে। বিশেষ করে পরিকল্পনা কমিশন থেকে পাউবো’র অনেক প্রকল্পের ডিপিপি’তে অধিক বরাদ্দ চাওয়া এবং প্রকল্পের ব্যাপারে যথাযথ নিয়ম অনুসরণ না করেই দাখিল করার কারণে তা অনুমোদন না করে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এমন অনেক প্রকল্পের ডিপিপি একাধিকবার ফেরত পাঠানোর রেকর্ডও রয়েছে।

একইভাবে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধিনস্থ পাউবো’র কর্মকা- নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়েরও রয়েছে নানাবিধ অভিযোগ। খোদ অর্থমন্ত্রী এবং কৃষি মন্ত্রী একাধিকবার পাউবো’র অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ করেছেন।

আর গত ২৪ আগস্ট পানি সম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে লেখা চিঠিতে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে রাজস্ব বাজেট খাতেও নদী ড্রেজিং, নদী ভাঙন রোধ ও মেরামত এবং বর্ষাকালে দুর্যোগের মোকাবেলার জন্য অতিরিক্ত বরাদ্দের কথা বারবার উচ্চারণ করেছে।

এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, যে বাস্তবতার আলোকে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় এই বরাদ্দ চাচ্ছে, সেই বাস্তবতা ব্যাপকভাবে বদলে গেছে। কাজেই এ ব্যাপারে ব্যাপক সমীক্ষা আবার সম্পাদন করা একটি বিবেচনাযোগ্য বিষয়। নদী ড্রেজিং-এর কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে অতিরিক্ত বরাদ্দের অনুরোধ জানিয়ে গত ২৬ জুলাই পানি সম্পদ মন্ত্রী চিঠি দেন অর্থমন্ত্রীর কাছে।

এই চিঠির জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, পানি সম্পদ খাতের গুরুত্ব ও কাজের পরিধি বিবেচনায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বাজেট বরাদ্দের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে অর্থমন্ত্রী তার চিঠিতে উল্লেখ করেন, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জন্য মোট ৪ হাজার ৭১৩ কোটি ১৭ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এর মধ্যে উন্নয়ন বাজেট বরাদ্দের পরিমাণ ৩ হাজার ৭৫৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা।

এছাড়া ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ অর্থবছরের সামগ্রিক বাজেট প্রক্ষেপণ হিসাবে যথাক্রমে ৫ হাজার ১৮৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকা ও ৫ হাজার ৭০২ কোটি ৯৪ লাখ টাকা নির্ধারণ করা আছে।

এর মধ্যে উন্নয়ন বাজেট বরাদ্দের পরিমাণ যথাক্রমে ৪ হাজার ৩২ কোটি ৮২ লাখ টাকা ও ৪ হাজার ৪৫৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা। এছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাষ্ট ফান্ড হতে ১২৮টি উন্নয়ন প্রকল্পের বিপরীতে ডিসেম্বর ২০১৫ পর্যন্ত ১ হাজার ৭০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

চিঠিতে দেশের সীমিত সম্পদ থেকে বরাদ্দকৃত এসব অর্থ পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়কে যথাযথভাবে কাজে লাগানোর অনুরোধ জানান অর্থমন্ত্রী।

বাংলা৭১নিউজ/সূত্র: ইনকিলাব অবলম্বনে

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com