সম্পদ বিবরণী দাখিল না করার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা এক মামলায় খালাস পেয়েছেন হানিফ পরিবহনের মালিক হানিফ মিয়া। সোমবার (৭ জুলাই) দুপুরে ঢাকার চার নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. রবিউল আলমের আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় হানিফ মিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন। হানিফ মিয়ার পক্ষের আইনজীবী বোরহান উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন হানিফ মিয়া ও তার আইনজীবীরা।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি মো. হানিফ মিয়া নিজ নামে ৩ কোটি ৩ লাখ ৫৬ হাজার ১৬৩ টাকার স্থাবর সম্পদ ও ১ কোটি ৮০ হাজার ২০৯ টাকা অস্থাবর সম্পদসহ মোট চার কোটি ৪ লাখ ৩৬ হাজার ৩৭২ টাকার সম্পদ অর্জন করেন।
এই সম্পদের মধ্যে জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত ১ কোটি ৭৫ লাখ ৩৬ হাজার ৭০৭ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (১) ধারার বিধান মতে দুর্নীতি দমন কমিশন ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর সম্পদ বিবরণী নোটিশ জারি করা হয়। একই বছরে ৯ ডিসেম্বর এই নোটিশ তামিল হয়। পরবর্তীতে তিনি এই সময়ের মধ্যে নোটিশের জবাব দাখিল করতে ব্যর্থ হন।
ওই ঘটনায় ২০২১ সালের ৪ এপ্রিল সম্পদের হিসাব জমা না দেওয়ার অভিযোগে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সংস্থাটির উপ-পরিচালক আবু বকর সিদ্দিক বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
২০২৩ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি দুদকের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। এরপর আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। বিচার চলাকালীন আদালত সাতজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকায় আওয়ামী লীগের এক জনসভায় গ্রেনেড হামলা হয়। হামলায় ২৪ জন নিহত এবং তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনাসহ প্রায় ৩০০ লোক আহত হন। ওই মামলার রায়ে হানিফ মিয়াকে ফাঁসির দণ্ড দেওয়া হয়। তিনি পলাতক থাকা অবস্থায় ওই রায় ঘোষণা করেন আদালত। পরবর্তীতে উচ্চ আদালত সে রায় বাতিল করে সব আসামিকে খালাস দেন।
বাংলা৭১নিউজ/একেএম