পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে সমাজমাধ্যমে আরও একটি পোস্ট করলেন ট্রাম্প। আমেরিকার প্রেসিডেন্টের দাবি, ইসরায়েল এবং ইরান প্রায় একইসঙ্গে তাঁর কাছে এসেছিল। দুই দেশই তাঁর কাছে গিয়ে ‘শান্তি’র কথা বলেছিল।
ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি নিয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি উড়িয়ে দিয়েছে তেহরান। এর পরেই ফের পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে সমাজমাধ্যমে আরও একটি পোস্ট করলেন ট্রাম্প। আমেরিকার প্রেসিডেন্টের দাবি, ইসরায়েল এবং ইরান প্রায় একইসঙ্গে তাঁর কাছে এসেছিল। দুই দেশই তাঁর কাছে গিয়ে ‘শান্তি’র কথা বলেছিল।
ওই পোস্টেই ইরান এবং ইসরায়েলের প্রসঙ্গে ট্রাম্প লিখেছেন, দুই দেশই অনেক কিছু পেয়েছে। তবে ধর্ম এবং সত্যের পথ থেকে সরে গেলে তারা (ইরান এবং ইসরায়েল) অনেক কিছু হারাতেও পারে। ঘটনাচক্রে ট্রাম্পের এই পোস্টের দু’ঘণ্টা আগেই যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত ট্রাম্পের দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। সামাজিকমাধ্যমে আরাগচি লেখেন, যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনও সমঝোতাই হয়নি। এ বিষয়ে ইরানের সামরিক বাহিনী পরে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। ট্রাম্প-ঘোষিত যুদ্ধবিরতি ইরান অস্বীকার করার পরেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই পোস্ট যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
ট্রাম্পের দাবি, ইরান এবং ইসরায়েল তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে বলেছিল তারা শান্তি চায়। মঙ্গলবার সকালে (ভারতীয় সময় অনুসারে) ওই পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, “আমি জানতাম, এখনই সময়। বিশ্ব এবং পশ্চিম এশিয়াই আসল জয়ী। আগামী দিনে দুই দেশেই ভীষণ শান্তি, সমৃদ্ধি এবং ভালবাসা আসবে। তারা অনেক কিছু পেয়েছে। তবে ধর্ম এবং সত্যের পথ থেকে বিচ্যুত হলে অনেক কিছু হারাতেও পারে।”
বস্তুত, সোমবার গভীর রাতে সাড়ে ৩ টার দিকে (বাংলাদেশ সময় অনুসারে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে ইরান-ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করেন ট্রাম্প। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট লিখেছিলেন, “এই যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত ইরান ও ইসরায়েল— দু’দেশই সম্মতি জানিয়েছে। আগামী ৬ ঘণ্টার মধ্যেই সম্পূর্ণ সংঘর্ষ বিরতি শুরু হবে। প্রথমে ইরান যুদ্ধবিরতি শুরু করবে এবং তার ১২ ঘন্টা পরে ইসরায়েল তা অনুসরণ করবে। ২৪ ঘন্টা পর দু’ দেশের মধ্যে ১২ দিনের টানা যুদ্ধ শেষ বলে ঘোষণা করা হবে।”
তবে ট্রাম্পের এই ঘোষণার পরে ইরান বা ইসরায়েল কোনও পক্ষের তরফে সরকারি ভাবে এ বিষয়ে কোনও বিবৃতি আসছিল না। ইরানি সংবাদমাধ্যমগুলি ট্রাম্পের ঘোষণার পর থেকেই, ওই দাবিকে অস্বীকার করে আসছিল। বিভিন্ন সরকারি সূত্র মারফত তেহরানের সংবাদমাধ্যমগুলি ট্রাম্পের ঘোষণাকে ‘অসত্য’ বলে দাবি করছিলেন।
শেষে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টায় (বাংলাদেশ সময়) তেহরানের অবস্থান স্পষ্ট করেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরাগচি। তিনি জানান, এখনও পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি বা সামরিক অভিযান বন্ধের বিষয়ে কোনও সমঝোতা হয়নি। চূড়ান্ত যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইরানের সামরিক বাহিনী পরবর্তী সময়ে সিদ্ধান্ত নেবে। তবে স্থানীয় সময় অনুসারে ভোর ৪টার পর (ইরানের সময়) থেকে ইসরায়েল হামলা বন্ধ করলে ইরানও নতুন করে সংঘর্ষে জড়াতে অনিচ্ছুক বলে জানান তিনি।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ