বাংলা৭১নিউজ,(সাভার)প্রতিনিধি: ঈদের আনন্দ পরিবারের সঙ্গে ভাগাভাগি করার জন্য নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছেন সবাই। রেল স্টেশন, বাস স্টেশন এবং সিএনজি স্টেশনে ছিল যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। এ অবস্থায় নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট যানবাহন না পেয়ে ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফেরতে হচ্ছে যাত্রীদের।
এদিকে, মহাসড়কে পিকআপ এবং পণ্যবাহী ট্রাকে যাত্রী ওঠানোর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মালবাহী ট্রাক, কাভার্ডভ্যানে যাত্রীদের উঠাচ্ছেন ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও পিকআপ চালক।
সোমবার বিকেলে সরেজমিনে, সাভারের আমিনবাজার, হেমায়েতপুর, বাইপাইলসহ বেশ কিছু জায়গায় এ চিত্র লক্ষ্য করা যায়। এসব স্থানে মালবাহী ট্রাক, কাভার্ডভ্যানে যাত্রীদের উঠাচ্ছেন চালকরা। এসব যানবাহনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফিরছেন যাত্রীরা।
বাইপাইল বাসস্ট্যান্ডে দেখা যায়, বগুড়াগামী একটি পিকআপের চালক প্রতি যাত্রীর কাছ থেকে ৫০০ টাকা করে ভাড়া তুলছেন। ৫০০ টাকা ভাড়ায় যাত্রীদের পিকআপযোগে বগুড়ায় পৌঁছে দেয়ার আশ্বাস দিচ্ছেন ওই পিকআপের চালক।
এ অবস্থায় বাস না পেয়ে এবং বাড়ি ফেরার অন্য কোনো উপায় না থাকায় ৫০০ টাকা ভাড়ায় পিকআপে উঠেছেন কেউ কেউ। যাত্রীরা বলছেন, স্টেশনে বাস সংকট। তাই উপায় না পেয়ে পিকআপযোগে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে তাদের।
এদিকে, বাইপাইল বাসস্ট্যান্ডের অদূরে এক ট্রাকের হেলপার যাত্রীদের ডেকে বলছেন, রাস্তায় কোনো যানজট নেই। দ্রুত ট্রাকে ওঠেন, নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দেয়া হবে। অল্প সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছে দিতেই আমাদের এ ব্যবস্থা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাভারের সবগুলো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশি তৎপরতা রয়েছে। কোথাও কোনো যানজট নেই। যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে মহাসড়কে অতিরিক্ত পরিমাণে যানবাহন লক্ষ্য করা গেছে।
আশুলিয়ার বাইপাইল মহাসড়কের দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর বলেন, মহাসড়কে যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপ রয়েছে। গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য যে যেভাবে পারছেন সেভাবে ছুটে যাচ্ছেন যাত্রীরা। আগামীকাল থেকে সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। তবে মহাসড়কে কোনো যানজট নেই। মহাসড়ক সড়ক ফাঁকা।
বাংলা৭১নিউজ/এফ.এ