বাংলা৭১নিউজ,হিলি প্রতিনিধি: পানামা হিলি পোর্টের শ্রমিকদের নিয়ে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করায় দিনাজপুরের হাকিমপুর প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করলেন শ্রমিকরা।
আজ সোমবার দুপুরে প্রেসক্লাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জাতীয় শ্রমিক লীগ, হাকিমপুর থানার সাধারন সম্পাদক ও হিলি স্থলবন্দর কুলি শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের সাধারন সম্পাদক, পানামা হিলি পোর্ট লিংক লি: এর শ্রমিক প্রধান গোলাম মোরশেদ বলেন, গত ৫ মে ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক সমকাল ও ৬ মে দিনাজপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক উত্তর বাংলা পত্রিকায় হিলিতে প্রতিদিন শ্রমিকদের মজুরীর প্রায় ৫ লাখ টাকা গায়েব। মানা হচ্ছেনা বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সুনিদিষ্ট নিদের্শনা। জাতীয় শ্রম মজুরী বোর্ড ঘোষিত প্রতিদিন পন্য লোড আনলোড বাবদ ৩৮ টাকা দেওয়ার নিদের্শনা থাকলেও দেওয়া হচ্ছে ১১ টাকা। প্রকাশিত সংবাদ দুটি আমাদের দৃষ্টি গোচর হয়েছে।
সংবাদে নজরুল ও জামালকে জাতীয় শ্রমিক লীগ এর সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক বলা হয়েছে কিন্তু তারা জাতীয় শ্রমিক লীগ হাকিমপুর শাখার সদস্য নয় । তারা বিভিন্ন সময় জাতীয় শ্রমিক লীগ এর নাম করে শ্রমিকদের চাঁদাবাজি ও প্রতারনা করে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক জিডি ও মামলা রয়েছে। তারা একটি প্রতারক চক্র। তাদের বক্তব্য ব্যবহার করে এ ধরনের মিথা বানোয়াট ও কাল্পনিক সংবাদ প্রকাশ করায় পানামা হিলি পোর্ট ও জাতীয় শ্রমিক লীগ এর ভাবমুত্তি ক্ষুন্ন করা হয়েছে। আমরা এই সংবাদের তিব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, পানামা হিলি পোর্ট চালু হওয়ার পর থেকেই জাতীয় শ্রমিক লীগ সুষ্ঠ ভাবে আমদানি ও রফতানিকৃত পন্য লোড আনলোড কাজ করে আসছে। পানামা হিলি পোর্ট এর ১২ টি ট্রেড ইউনিয়নের শ্রমিকরা কাজ করছে। এখানে কোন অবৈধ শ্রমিক দ্বারা কাজ করানো হয় না।
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মেনেই পানামা হিলি পোর্ট কর্তৃপক্ষ আমাদের মজুরী প্রদান করে থাকেন। সরকার বিরোধী হরতাল হলে আমরা সেই হরতালের মধ্যে পন্য লোড আনলোড করে থাকি কিন্ত এই চক্রটি আমাদের লোড আনলোড বন্ধ রাখার জন্য বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিয়ে থাকেন।
গত ১৬ এপ্রিল শ্রমিককে মারপিটের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। তারা জামিনের জন্য আদালতে হাজির হলে বিচারক তাদের জেলহাজতে পাঠায়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় শ্রমিক লীগ হাকিমপুর উপজেলা শাখার সভাপতি সাইদুর রহমান মল্লিক নান্নু, জাতীয় শ্রমিক লীগ পৌর শাখার সভাপতি আইয়ুব আলীসহ অন্যান্য শ্রমিকরা।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস