রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৩৪ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
বঙ্গোপসাগর থেকে ভেসে এসেছে টর্পেডো সদৃশ বস্তু এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ৯-১১ মের মধ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কেবল ব্যবসা করলে চলবে না : শিল্পমন্ত্রী আইনগত সহায়তা পাওয়া করুণা নয় : আইনমন্ত্রী কোটালীপাড়ার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা বিনামূল্যে ছাতা-খাবার স্যালাইন পাচ্ছেন ৩৫ হাজার রিকশাচালক মাদরাসায় যাওয়ার পথে শিক্ষকের মৃত্যু, ধারণা ‘হিটস্ট্রোক’ রোগীর প্রতি চিকিৎসকের অবহেলা বরদাস্ত করা হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্কুলে আসার পথেই অসুস্থ, ক্লাস না করে ফিরেছে অনেক শিক্ষার্থী টেকসই প্রযুক্তিতে পানি পরিশোধন করবে ডাইকি অ্যাক্সিস বাংলাদেশ মাঠে নামছে চেন্নাই, একাদশে থাকবেন মুস্তাফিজ? বন্দিদের মুক্তি দাবিতে ইসরায়েলজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ পরিবহন ধর্মঘটে যানশূন্য সড়কে দুর্ভোগ চরমে আপিল বিভাগের ২ বেঞ্চে চলবে বিচারকাজ: প্রধান বিচারপতি ফরিদপুরে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যায় জড়িতরা অচিরেই গ্রেফতার মে দিবসে সমাবেশ করবে বিএনপি বান্দরবানে ২ কেএনএফ সদস্যের মরদেহ! কালো চশমা পরা বিএনপি নেতারা দেশের উন্নয়ন দেখতে পায় না মিস ইউনিভার্সের মঞ্চে লড়বেন ৬০ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন সুন্দরী ফের শেষ মুহূর্তের গোলে অপরাজিত থাকলো লেভারকুসেন

হাসিনা-মোদি ভিডিও কনফারেন্স ভৈরব-তিতাস সেতু ও রেল সার্ভিস উদ্বোধন

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৭
  • ২২১ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দ্বিতীয় ভৈরব ও তিতাস রেল সেতু, খুলনা-কলকাতা রেল সার্ভিস ও মৈত্রী এক্সপ্রেসের ননস্টপ সার্ভিস উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

আজ গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী যুক্ত হন।

এ সময় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সংযুক্ত ছিলেন।

দিল্লিতে মোদীর সঙ্গে অনুষ্ঠানে ছিলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। আর ঢাকায় শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

রেল সেতু উদ্বোধনের সময় ভৈরব থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক। কলকাতা রেল স্টেশনের আন্তর্জাতিক টার্মিনালে ছিলেন ভারতীয় রেলের স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করা হয় দিল্লি থেকে।

ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন শেষে দুই দেশের নেতৃবৃন্দ বলেন, এ প্রকল্পগুলো দুই দেশের সম্পর্কোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি দুই দেশের জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটাবে।

ভবিষ্যতেও দুই দেশ এক হয়ে উন্নয়নের পথে হাঁটবে বলেও শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

অন্যদিকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে সফরের আমন্ত্রণ জানান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।

বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের যৌথ অর্থায়নে নির্মিত ভৈরব রেল সেতুটি চালু হওয়ায় পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপক প্রসার ঘটবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে ভৈরব ও তিতাসের পুরনো সেতু দুটি নির্মাণ করা হয়েছিল ১৯৩৭ সালে।

ভারতীয় ঋণে সেখানে নতুন দুটি সেতু হওয়ায় ডাবল লাইনে ক্রসিং ছাড়াই ট্রেন চলাচল করতে পারবে এবং যাতায়াতের সময় ১৫ মিনিট কমে আসবে বলে প্রকল্প কর্মকর্তারা জানান।

২০১০ সালের নভেম্বরে একনেকের অনুমোদন পাওয়া এ দুটি প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে এক হাজার কোটি টাকা, যার মধ্যে ভারত ঋণ ৮২৬ কোটি ২০ লাখ টাকা দিয়েছে।

আশুগঞ্জ ও ভৈরবে মেঘনা নদীর ওপর ডুয়েল গেজ রেলসেতুটির দৈর্ঘ্য ৯৮২ দশমিক ২ মিটার। আর দ্বিতীয় তিতাস রেলসেতু ২১৮ মিটার দীর্ঘ।

ভৈরব সেতুটি চালু হওয়ার আগে মেঘনা নদীর ওপর একটি সেতু থাকায় ভৈরব অথবা পার্শ্ববর্তী তালশহর স্টেশনে ট্রেন দাঁড় করিয়ে ক্রসিং দিতে হতো। দ্বিতীয় ভৈরব রেলওয়ে সেতুটি চালু হওয়াতে পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগে দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘব হল। সেতুটি চালু হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট রেলপথে যাত্রার সময় অনেকটা কমে আসবে বলেও জানান তিনি।

এছাড়া মৈত্রী এক্সপ্রেসে ঢাকা থেকে কলকাতা যেতে বা আসার পথে এতদিন যাত্রীদের ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা সারতে হত চুয়াডাঙ্গার দর্শনা ও মুর্শিদাবাদের গেদে সীমান্তে।

এখন থেকে বাংলাদেশ অংশের ইমিগ্রেশন সম্পন্ন হবে ঢাকা ছাড়ার আগেই। গন্তব্য শেষে কলকাতায় হবে ভারতীয় অংশের ইমিগ্রেশন। তাতে যাত্রার সময় কমে আসবে তিন ঘণ্টা; যাত্রীদের ভোগান্তিও কমবে।

আর খুলনা-কলকাতা রুটের নতুন ট্রেন বন্ধন এক্সপ্রেস আজ থেকে চালু হচ্ছে পরীক্ষামূলকভাবে। এর নিয়মিত যাত্রা শুরু হবে ১৬ নভেম্বর থেকে।

বন্ধন এক্সপ্রেস চালুর মধ্য দিয়ে খুলনা-কলকাতা রুটে দীর্ঘ ৫২ বছর পর যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে। পাকিস্তান আমলে এই পথে ট্রেন চললেও ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর তা বন্ধ হয়ে যায়।

১৫৬ আসনের এই ট্রেনের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বার্থ ভাড়া দেড় হাজার টাকা, আর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আসনের ভাড়া এক হাজার টাকা।

বাংলাদেশ সময় বেলা সোয়া ১টায় খুলনা থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হবে বন্ধন। বেলা ২টা ৫৫ মিনিটে যশোরের বেনাপোল অতিক্রম করে কলকাতায় পৌঁছাবে ভারতের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ১০ এ। কলকাতা থেকে ট্রেনটি ছাড়বে স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ১০ মিনিটে; খুলনায় পৌঁছাবে বেলা ১২টা ৫ মিনিটে।

শুক্রবার থেকে মৈত্রী এক্সপ্রেসও নতুন সূচিতে চলবে। সকাল সোয়া ৮টায় ঢাকা থেকে রওনা হয়ে কলকাতায় পৌঁছাবে স্থানীয় সময় বিকাল ৪টায়। আর কলকাতা থেকে সকাল ৭টা ১০ মিনিটে রওনা হয়ে বিকেল ৪টা ৫ মিনিটে ঢাকা পৌঁছাবে।

বাংলা৭১নিউজ/সিএইস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com