বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: রাজধানীর হাতিরপুলে সুস্মিতা নামের এক তরুণীকে ধর্ষণের পর ২৬ টুকরা করে হত্যার ঘটনায় সাইদুর রহমান বাচ্চুর মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।
আজ ঢাকার তিন নম্বর নারী ও শিশু নির্বাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক জয়শ্রী সমদ্দার এই রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত বাচ্চু জামিনে গিয়ে পলাতক আছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ৩১ মে হাতিরপুলের নাহার প্লাজার ১৩ তলায় সোনালী রিক্রুটিং এজেন্সি অফিসে ওই তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। এরপর লাশ ২৬ টুকরো করে ওই প্রতিষ্ঠান ও পাশের বিল্ডিংয়ের ছাদে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ফেলে রাখা হয়। আর নাড়িভুঁড়িসহ বাকি অংশ ফেলা হয় টয়লেটের কমোডে।
ঘটনার দুই দিন পর ওই বছরের ২ জুন পুলিশ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা মরদেহের অংশগুলো উদ্ধার করে নিয়ে আসে। চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডটি দেশের মানুষকে নাড়া দেয়।
ওই হত্যাকাণ্ডে শাহবাগ থানার এসআই আব্দুস সামাদ বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক সাইদুর রহমান বাচ্চুকে গ্রেপ্তার করলে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।
সেদিন বাচ্চু তার স্বীকারোক্তিতে জানান, ধর্ষণের পর ধরা পড়ার ভয়ে তিনি সুস্মিতাকে খুন করেন। এরপর খুনের আলামত গোপন করতে সারা রাত ধরে লাশ টুকরো টুকরো করেন। এরপর মানুষ যাতে না বুঝতে পারে সেজন্য টুকরোগুলোর হাড় থেকে মাংস আলাদা করে হাড়গুলো পার্শ্ববর্তী বিল্ডিংয়ের ছাদ ও রাস্তায় ফেলে দেন। মাংসগুলো বাথরুমের কমোডে ফেলে ফ্লাশ করে দেন।’
বাচ্চু আরো জানান, ঘটনার দুই বছর আগে সুস্মিতার সঙ্গে মোবাইল ফোনে পরিচয় হয় তার। ঘটনার ১০/১২দিন আগে সুস্মিতা মিরপুরে তার খালার বাসায় বেড়াতে আসেন। এরপর বাচ্চু সুস্মিতাকে তার অফিস সোনালী রিক্রুটিং এজেন্সির অফিসে নিয়ে আসেন এবং ধর্ষণ ও পরে হত্যা করেন।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস