সব দম্পতির মধ্যেই কমবেশি বয়সের ব্যবধান থাকে। পারিবারিকভাবে হোক বা ভালোবাসার বিয়ে দুজনের মধ্যকার বয়সের ব্যবধান নিয়ে সবাই কমবেশি ভাবেন!
যদিও গুরুজনরা বলেন, স্বামী-স্ত্রী সমবয়সী হলে তাদের সম্পর্ক বেশিদিন টেকে না! আবার স্ত্রীর চেয়ে স্বামীর বয়স বেশি হলে, সে সংসার সুখের হয়। তবে এমন অনেক দম্পতিই আছেন, যেখানে নারীর বয়স বেশি ও পুরুষের কম আবার কোথাও পুরুষের বেশি ও নারীর কম!
আসলে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে এখন আর কেউই বয়সের বিষয়ে মাথা ঘামান না। তবুও দাম্পত্য জীবনে বয়সের ব্যবধান প্রভাব ফেলতে পারে বলে মত অনেকের। তাহলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বয়সের পার্থক্য কত হলে ভালো হয়?
একেক দম্পতির মধ্যকার বয়সের ব্যবধান ভিন্নভাবে প্রভাব ফেলে সংসারে। দেখা যায়, কোনো দম্পতির মধ্যে ২ বছর বয়সের ব্যবধান, তবুও তারা দাম্পত্য জীবনে সুখী। আবার যাদের মধ্যকার বয়সের ব্যবধান ১০ বছর, তারাও দেখা যায় সুখে সংসার করছেন।
আবার এমন বয়সের ব্যবধান থাকা অনেক দম্পতির মধ্যে মতের অমিল, অশান্তি এমনকি বিচ্ছেদের ঘটনাও ঘটে থাকে। তাই বলা হয়ে থাকে, সফল বিয়ের জন্য বয়সের ব্যবধানও সঠিক হওয়া প্রয়োজন। না হলে বিয়ের পর দাম্পত্য জীবনে অশান্তি হতে পারে।
ধরুন, স্বামী-স্ত্রীর বয়সের পার্থক্য যদি ৫-৭ বছরের হয়ে থাকে, তাহলে তাদের মধ্যে কম সংঘর্ষ, ভুল বোঝাবুঝি ও তর্ক হয়। একজনের চেয়ে অন্যজন বয়সে বড় হওয়ায় তাদের মধ্যে বোঝাপোড়া ভালো থাকে। সব সময় তারা বিয়েকে ভেঙে পড়া থেকে রক্ষা করে। দাম্পত্য জীবনে এমন বয়সের ব্যবধানকে আদর্শ বলা হয়।
অন্যদিকে বয়সের ব্যবধান ১০ বছর, এমন দম্পতিদের মধ্যে বোঝাপোড়া ভালো থাকলে সংসারে উন্নতি ঘটে। তবে কনিষ্ঠ অংশীদার বয়স্ক সঙ্গীর মতাদর্শের সঙ্গে মত মেলাতে না পারলে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
ঠিক একইভাবে কোনো দম্পতির বয়সের ব্যবধান ২০ বছর হওয়া উচিত নয়। এটি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার আদর্শ বয়সের ব্যবধান নয়। যদিও অনেক বিখ্যাত দম্পতি আছেন, যাদের বয়সের ব্যবধান ২০ বছরেরও বেশি।
তবে সবার ক্ষেত্রে তা সুখকর নাও হতে পারে। এক্ষেত্রে দুজনের মধ্যকার মতামত, লক্ষ্য, ব্যবহার সব বিষয়েই পরিবর্তন দেখা দিতে পারে। ফলে সংসারে ভুল বোঝাবুঝি ও মতের অমিল ঘটতে পারে।
বলা হয়, স্বামী-স্ত্রীর বয়সের পার্থক্য দাম্পত্য জীবনে বিরাট প্রভাব ফেলে। দুজনার মধ্যে বেশি বয়সের পার্থক্যও যেমন অশান্তি ডেকে আনতে পারে, ঠিক তেমনই সমবয়সী কিংবা অল্প বয়সের ব্যবধানও সম্পর্ককে নড়বড়ে করে তুলতে পারে।
স্বামী-স্ত্রী দুজনই যদি অল্পবয়সী হয়, তাহলে পরিপক্কতার অভাবে সম্পর্ক ভেঙে যেতে পারে। এক্ষেত্রে কিছুটা বয়স্ক জীবনসঙ্গী থাকা দাম্পত্য জীবনে আরও স্থিতিশীলতা আনতে পারে। তাই স্বামী-স্ত্রীর বয়সের পার্থক্য ৫-৭ বছর হওয়াই আদর্শ বলে বিবেচিত।
বয়সের ব্যবধান সত্ত্বেও একটি সফল বিবাহের চাবিকাঠি হলো যোগাযোগ, পারস্পারিক শ্রদ্ধা, ভালবাসা ও স্থিতিশীলতা। যদিও বিবাহের জন্য সঠিক বা নির্দিষ্ট কোনো বয়সের ব্যবধান নির্ধারন করা নেই।
সূত্র: বোনোবোলজি
বাংলা৭১নিউজ/পিকে