বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, জনগণের দোরগোড়ায় স্বল্প খরচে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়াই আমাদের অন্যতম লক্ষ্য। এটিকেই আমরা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেব।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, গত ১০ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বাস্থ্য সেক্টরে প্রশংসনীয় সফলতা এসেছে। সফলতার এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখার পাশাপাশি দেশে সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রতিষ্ঠার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
আওয়ামী লীগের ইশতেহার অনুযায়ী অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেশের প্রতিটি বিভাগে একটি করে কিডনি ও ক্যান্সার হাসপাতাল স্থাপনের ঘোষণা দিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, দেশে অসংক্রামক রোগ, বিশেষ করে কিডনি ও ক্যান্সার রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এসব রোগের চিকিৎসা খুবই ব্যয়বহুল। দেশের সর্বত্র এসব রোগের চিকিৎসাসেবা প্রদানের পর্যাপ্ত অবকাঠামো নেই। জেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে ক্যান্সার ও কিডনি ইউনিট স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
সরকারি হাসপাতালগুলোতে পূর্ণাঙ্গ জরুরি বিভাগ স্থাপনের কথা জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, বিষয়টি সরকারি বিবেচনায় রয়েছে। সরকারি হাসপাতালগুলোতে পূর্ণাঙ্গ জরুরি বিভাগ স্থাপতি হলে অনেক মুমূর্ষু রোগীর প্রাণ বাঁচানোর সম্ভাবনা বাড়বে। সরকারি হাসপাতালগুলোতে যন্ত্রপাতিসমূহের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে সঙ্গে নিয়ে সচিবালয়ে আসেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম ও জি এম সালেহ উদ্দিন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, মেডিক্যাল কলেজ, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাবিষয়ক বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরসমূহের কর্মকর্তা-কর্মচাররীরাও নতুন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
পরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে গত ১০ বছরে স্বাস্থ্য সেক্টরে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জসমূহ চিহিৃত করে সকলকে নিয়ে তা মোকাবিলা করা হবে।
এ লক্ষ্যে তিনি মাঠ পর্যায় থেকে শুরু করে রাজধানীসহ সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব জি এম সালেহ উদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম এ মোহী, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তন্দ্রা শিকদার, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের চেয়ারম্যান ডা. দিলীপ কুমার রায় প্রমুখ।
বাংলা৭১নিউজ/জেড এইচ