বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৩:৪৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
শনিবার থেকে খোলা স্কুল-কলেজ: শিক্ষা মন্ত্রণালয় ইসলামী ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রা জমা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১২ কেজি এলপিজির দাম কমলো ৪৯ টাকা শেয়ার ছাড়বে রূপালী ব্যাংক নীলফামারীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু বিএনপির নয় আওয়ামী লীগের নেতারা দেশ ছাড়ছেন : রিজভী মামলা হলে মিল্টনের স্ত্রীকেও গ্রেফতার করা হবে : ডিবি প্রধান হারুন যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ ইউক্রেন যুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করছে রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রকে নিজের ঘর সামলাতে বললেন প্রধানমন্ত্রী ভারতে ৫১ বছরের রেকর্ড ভাঙলো দাবদাহ, তাপমাত্রা ছাড়ালো ৪৭ ডিগ্রি ৫ বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে শুক্রবার স্কুল খোলা না বন্ধ, জানাল শিক্ষা মন্ত্রণালয় ফিলিস্তিনকে তাদের জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে: খামেনি দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার স্বাস্থ্য খাতে সমন্বিত নেতৃত্বের আহ্বান সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের রাজবাড়ীতে লাইনচ্যুত ট্রেন উদ্ধার, ৩ ঘণ্টা পর যোগাযোগ স্বাভাবিক ঢাকায় পরিবহনে চাঁদাবাজি, মূলহোতাসহ গ্রেফতার ১১ জাতির পিতার সমাধিতে আপিল বিভাগের নবনিযুক্ত বিচারপতিদের শ্রদ্ধা প্রতীক নিয়ে আজ থেকেই ১৮ দিনের প্রচারণায় নামবেন প্রার্থীরা ওমরা পালনে সস্ত্রীক সৌদি যাচ্ছেন মির্জা ফখরুল গ্রামীণ টেলিকম দুর্নীতি: ইউনূসের জামিন, চার্জ শুনানি ২ জুন

সোনারচরে হচ্ছে বিশেষ পর্যটন এলাকা

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক:
  • আপলোড সময় বুধবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ৫৪ বার পড়া হয়েছে

বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে ওঠা দ্বীপ সোনারচর। সবুজের সমারোহে চারদিক ছেয়ে আছে প্রকৃতি। বনবিভাগের সংরক্ষিত এ বনাঞ্চলে আছে বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালাসহ পশু পাখিদের অভয়াশ্রম। বনের পাশেই আছে বালুকাময় সমুদ্র সৈকত। পর্যটনের অপার সম্ভাবনাময় এ দ্বীপকে কাজে লাগাতে চায় সরকার।

শুধু সোনারচর নয়, এর আশপাশে থাকা আরও তিনটি চর নিয়ে বিশেষ পর্যটন এলাকা গড়ে তুলতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ইকো ট্যুরিজমকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

সোনার চরে আছে কেওড়া, সুন্দরী, ছৌলা, করমচা, হেতাল, বাবলা, নোনাঝাউ, গোলপাতাসহ অসংখ্য প্রজাতির গাছপালা। গাছ-গাছালির মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে ছোট বড় খাল। সব মিলিয়ে প্রকৃতির এক অপরূপ সৃষ্টি। এক দেখাতেই সবাইকে মুগ্ধ করবে এ চার। নামের সঙ্গে যার বাস্তবতা শতভাগ মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

 

এ চরে আছে চিত্রা হরিণ, মায়া হরিণ, শুকর, বন বিড়াল, গুইসাপ, চামচিকাসহ বিভিন্ন বিলুপ্তপ্রায় এবং বিরল সব প্রাণীর উপস্থিতি। আর সোনার চরেই আছে দেশি-বিদেশি জানা অজানা পাখিদের অভয়ারণ্য।

২০২৬.৪৮ হেক্টর আয়তনের এ সংরক্ষিত বনাঞ্চলের উত্তর এবং পশ্চিমে বুড়া গৌরাঙ্গ নদী এবং দক্ষিণ ও পূর্বে বঙ্গোপসাগর। আর দক্ষিণ পূর্ব দিকে আছে পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত।

রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাশফাকুর রহমান বলেন, সোনারচরের পাশেই আছে চরকলাগাছিয়া, চরতুফানিয়া এবং জাহাজমারার চর। এগুলোকে কীভাবে একটি সমৃদ্ধ পর্যটনের আওতায় নিয়ে আশা যায় সে বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে সোনারচরের পূর্বদিকের সৈকত লাগোয়া এলাকার বেশকিছু গাছ মারা গেছে। ফলে এখানে আগত পর্যটকরা হতাশা প্রকাশ করছেন।

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পটুয়াখালী উপকূলীয় বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ইট কটি ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট ও সৈকত লাগোয়া গাছের গোঁড়ায় অধিক পরিমাণ বালু জমায় গাছগুলো মারা গেছে। তবে সোনারচরের পূর্বদিকে জেগে ওঠা নতুন চরে ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সৃজন করার পাশাপাশি এখানে সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্য সম্পর্কে জানতে বিশেষ একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে।

পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, সোনারচরসহ এর আশপাশের দ্বীপ চর নিয়ে বিশেষ পর্যটন এলাকা ঘোষণার জন্য বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সোনারচরসহ এ এলাকার দ্বীপ চরগুলো পর্যটন স্পট হিসেবে পরিণত হলে কুয়াকাটাও অনেকটা সমৃদ্ধ হবে। এ জন্য রাঙ্গাবালী উপজেলার সঙ্গে ফেরি সার্ভিসও চালু করা হবে।

২০১১ সালের ১৪ ডিসেম্বর সোনারচরকে একটি সংরক্ষিত বনাঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে এ চরে কোন মানুষের বসতি না থকলেও বনের নিরাপত্তার জন্য বন বিভাগের একটি অফিস আছে।

বাংলা৭১নিউজ/পিকে

 

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com