রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ১১:৪৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
এ জে মোহাম্মদ আলীর সম্মানে বন্ধ থাকবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকাজ টানা ৮ দফা কমার পর ফের বাড়লো সোনার দাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সরকারের পাতানো ফাঁদ: আব্বাস আশুগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ২ ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ এবি ব্যাংকের লভ্যাংশ ঘোষণা রূপালী ব্যাংকের ঢাকা উত্তর বিভাগীয় ব্যবসায়িক সম্মেলন অনুষ্ঠিত রোববার দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা স্বাধীন ফিলিস্তিন ইস্যুতে সমাবেশের ডাক ছাত্রলীগের ৮ মের উপজেলা নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে যে নির্দেশনা দিল ইসি ফের বাংলাদেশে আশ্রয় নিলো মিয়ানমারের ৪০ বিজিপি সদস্য ট্রেন সার্ভিসের মাধ্যমে রাজধানীর চাপ কমে আসবে: চিফ হুইপ মৌলভীবাজারে পুলিশের বাধায় ছাত্রদলের মিছিল পণ্ড প্রেমের ফাঁদে ফেলে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা আদায়, গ্রেফতার ৭ পদ্মা-মেঘনায় মিলছে না ইলিশ, হতাশ জেলেরা ‘উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব খাটালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’ উত্তরায় লেক থেকে দুই স্কুল শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার রাশিয়ার সাথে সম্ভাব্য সংঘাতের প্রস্তুতি নিচ্ছে ন্যাটো : মস্কো খিলগাঁওয়ে রিকশাচালকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার ১৪ দিন পর ডেঙ্গুতে শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু হাসপাতালের ভবনের ফাঁক দিয়ে পড়ে রোগীর মৃত্যু

সুন্দরবনে ৩ মাসের জন্য সব ধরনের পর্যটন নিষিদ্ধ হচ্ছে

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শুক্রবার, ২৭ জুলাই, ২০১৮
  • ৩৬৩ বার পড়া হয়েছে
Jpeg

বাংলা৭১নিউজ, মনিরুল সিলাম দুলু, মংলা প্রতিনিধি: সুন্দরবন বন্যপ্রাণীর প্রজনন মৌসুম উপলক্ষে জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত তিন মাস সুন্দরবনে সব ধরনের পর্যটন নিষিদ্ধ করার বিষয়ে কাজ শুরু করেছে বনবিভাগ। এ ব্যাপারে বনবিভাগের সংশি¬ষ্ট দফতর থেকে নির্দেশনা আনতে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের কর্মকর্তারা।

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোঃ মাহমুদুল হাসান এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, তাদের প্রস্তাব অনুমোদিত হলে আগামী বছর (২০১৯ সাল) থেকে এ নির্দেশনা কার্যকর হতে পারে। তবে খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মোঃ আমির হোসাইন চৌধুরী জানিয়েছেন, কোনও নির্দিষ্ট সময় পর্যটন নিষিদ্ধের বিষয়ে আগে বিভিন্ন পর্যায়ে মতবিনিময় করা হবে।

পরে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।  তবে সেভ দা  সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান লায়ন ড.ফরিদুল ইসলাম জানান,সুন্দরবন সুরক্ষার জন্য সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে তাতে বাধা নেই কিন্তু মাথা ব্যাথা হলে মাথা কেটে ফেলতে হবে তা হতে পারেনা ।

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোঃ মাহমুদুল হাসান  বলেন, ‘বিশ্বখ্যাত বেঙ্গল টাইগার, চিত্রা ও মায়া হরিণসহ বনের প্রায় ৩৭৫ প্রজাতির বণ্যপ্রাণীর প্রজনন নির্বিঘ্ন করতে নির্দিষ্ট এই প্রজনন মৌসুমে সব ধরণের পর্যটন নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

Jpeg

এ ব্যাপারে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বাগেরহাট অফিস থেকে খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষকের মাধ্যমে প্রধান বন সংরক্ষকের (সিসিএফ) কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। পৃথিবীর বৃহত্তম এই ম্যানগ্রোভ বনে বন্যপ্রাণীর অবাধ বিচরণ ও বংশ বিস্তারের লক্ষ্যে এ প্রস্তাবটিকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছে বন অধিদফতরের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগও।’

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগ সূত্র থেকে জানা যায়, ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইড বা বিশ্ব ঐতিহ্য  হিসেবে স্বীকৃত এই বনের ছয় হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনের বাংলাদেশ অংশে রয়েছে বাঘ, চিত্রা ও মায়া হরিণ, বিলুপ্তপ্রায় ইরাবতীসহ বিভিন্ন প্রজাতির ডলফিন, লোনা পানির কুমির, বন্য শুকর ও উদবিড়ালসহ ৩৭৫ প্রজাতির প্রাণী। সুন্দরবনে ২০০৪, ২০০৭, ২০১১ ও ২০১৫ সালের জরিপে দেখা গেছে, বেঙ্গল টাইগার ও হরিণসহ বন্যপ্রাণীর আধিক্য রয়েছে এমন এলাকাগুলোতেই পর্যটকরা ভ্রমণে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকেন। জলবায়ু পরিবর্তনসহ মানুষ সৃষ্ট নানা কারণে সুন্দরবনের প্রাণীকূল সংকটের মধ্যে রয়েছে। বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়, ইতোমধ্যেই সুন্দরবন থেকে বিলুপ্ত হয়েছে দুই প্রজাতির হরিণ, দুই প্রজাতির গন্ডার, এক প্রজাতির মিঠা পানির কুমির ও এক প্রজাতির বন্য মহিষ।

সূত্র আরও জানায়, জুন থেকে আগস্ট এই তিন মাস সুন্দরবনের বাঘ ও হরিণসহ বহু সংখ্যক বন্যপ্রাণীর প্রজনন মৌসুম। পর্যটকদের কারণে বন্যপ্রাণীর অবাধ বিচরণ ও প্রজননে বাধার সৃষ্টি হয়, ফলে তাদের বংশ বিস্তারেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এই অবস্থায় প্রজনন মৌসুমের তিন মাস পর্যটন নিষিদ্ধ করার একটি প্রস্তাব খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মোঃ আমির হোসাইন চৌধুরীর কাছে গত মাসে পাঠানো হয়েছে।

খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক (সিএফ)  আমির হোসাইন চৌধুরী বলেন, ‘আমরা এখনই এ ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত নিচ্ছি না। সুন্দরবনের ওপর যারা কাজ করেন এরকম বিশেষজ্ঞ, পরিবেশবিদ, বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে মতবিনিময় করবো আমরা। আলোচনার পর মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হবে। পরে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

সুন্দরবন একাডেমির মংলাস্থ পরিচালক সুভাষ বিশ্বাস জানান, জুন থেকে আগস্ট এই তিন মাস বর্ষা মৌসুম ।এসময় সুন্দরবনের বাঘ ও হরিণসহ বহু সংখ্যক বন্যপ্রাণীর প্রজনন মৌসুম।তাই এই সময় সব ধরনের পর্যটন নিষিদ্ধ করা হলে একদিকে ভাল হবে তবে পর্যাটন ব্যবসার দিকেও নজর রাখতে হবে ।

সেভ দ্যা সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান লায়ন ড.ফরিদুল ইসলাম জানান,সুন্দরবন সুরক্ষার জন্য সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এটা ভাল উদ্যোগ। যে সব এলাকা অভয়ারন্য হিসেবে আছে ,সেই সব এলাকায় এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।তাই বলে সারা সুন্দরবন এলাকায় এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা ঠিক হবেনা । মাথায় ব্যাথা হলে মাথা কেটে ফেলতে হবে এটা সমাধান হতে পারেনা।সুন্দরবন আমাদের দেশের  একটা বিরাট পর্যাটন  এলাকা।এই সিদ্ধান্ত নিলে  পর্যাটন  ব্যবসার জন্যও ক্ষতি হবে । তাই সুন্দরবনের মধ্যে যে  সব  এলাকা পর্যাটন হিসেবে রয়েছে সেই  এলাকা  এই নিষিদ্ধের বাইরে  রাখতে হবে । বাকি সব এলাকা সারা বছরই সুরক্ষার আওতায় আনা উচিৎ।বন্ধ করা উচিৎ বনজ ও বণ্য পাণী পাচার সেই সাথে আরও বাড়ানো উচিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com