বাংলা৭১নিউজ ডেস্ক: সিরিয়ায় ‘অনতিবিলম্বে’ ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে সর্বসম্মতভাবে একটি প্রস্তাব গৃহিত হয়েছে। সংঘর্ষে আটকে পড়া বেসামরিক নাগরিকদের কাছে ত্রাণ ও চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিতে শনিবার রাতে এই প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।
শেষ মুহূর্তের আলোচনা এবং কয়েক দফা ভোটাভুটি পিছিয়ে দেয়ার পর শনিবার রাতে ১৫-০ ভোটে প্রস্তাবটি গৃহিত হয়।
গত কয়েকদিন ধরে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের কাছে পূর্ব ঘৌতা এলাকায় ব্যাপক সংঘর্ষের পর এ প্রস্তাব অনুমোদিত হলো।
পূর্ব ঘৌতা এলাকা নিয়ন্ত্রণকারী উগ্র জঙ্গিরা গত কয়েকদিন ধরে দামেস্ককে লক্ষ্য করে ব্যাপকভাবে রকেট ও কামানের গোলা বর্ষণ করে যাচ্ছে। এতে বেসামরিক নাগরিকদের জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু আমেরিকাসহ পশ্চিমা শক্তিগুলো এ সংকট সৃষ্টির জন্য সিরিয়া সরকার ও রাশিয়াকে দায়ী করছে।
নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাবটি গৃহিত হওয়ার পর জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া এ সম্পর্কে বলেছেন, “একটি প্রস্তাব পাস করে সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ সংকটের সমাধান করা যাবে ভেবে থাকলে তা হবে শিশুসুলভ মানসিকতা।”
তিনি বলেন, এই প্রস্তাবের প্রতি রাশিয়া সমর্থন দিয়েছে ঠিকই কিন্তু সিরিয়ায় যুদ্ধরত পক্ষগুলোর সমর্থন ছাড়া দেশটিতে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। তিনি পূর্ব ঘৌতা এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে অতিরঞ্জিত খবর প্রচারের জন্য পশ্চিমা সরকারগুলির পাশাপাশি তাদের গণমাধ্যমকে দায়ী করেন।
এদিকে জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি এই প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটিতে ‘বাধা সৃষ্টি করার’ জন্য মস্কোকে অভিযুক্ত করেন।
দু’সপ্তাহ আগে নিরাপত্তা পরিষদের দুই অস্থায়ী সদস্য সুইডেন ও কুয়েতের পক্ষ থেকে সিরিয়ায় এক মাসের যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার এই প্রস্তাব আনা হয়েছিল।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস