রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ১০:৫৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
টানা ৮ দফা কমার পর ফের বাড়লো সোনার দাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সরকারের পাতানো ফাঁদ: আব্বাস আশুগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ২ ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ এবি ব্যাংকের লভ্যাংশ ঘোষণা রূপালী ব্যাংকের ঢাকা উত্তর বিভাগীয় ব্যবসায়িক সম্মেলন অনুষ্ঠিত রোববার দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা স্বাধীন ফিলিস্তিন ইস্যুতে সমাবেশের ডাক ছাত্রলীগের ৮ মের উপজেলা নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে যে নির্দেশনা দিল ইসি ফের বাংলাদেশে আশ্রয় নিলো মিয়ানমারের ৪০ বিজিপি সদস্য ট্রেন সার্ভিসের মাধ্যমে রাজধানীর চাপ কমে আসবে: চিফ হুইপ মৌলভীবাজারে পুলিশের বাধায় ছাত্রদলের মিছিল পণ্ড প্রেমের ফাঁদে ফেলে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা আদায়, গ্রেফতার ৭ পদ্মা-মেঘনায় মিলছে না ইলিশ, হতাশ জেলেরা ‘উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব খাটালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’ উত্তরায় লেক থেকে দুই স্কুল শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার রাশিয়ার সাথে সম্ভাব্য সংঘাতের প্রস্তুতি নিচ্ছে ন্যাটো : মস্কো খিলগাঁওয়ে রিকশাচালকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার ১৪ দিন পর ডেঙ্গুতে শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু হাসপাতালের ভবনের ফাঁক দিয়ে পড়ে রোগীর মৃত্যু রোববার থেকে আপিল বিভাগের দুটি বেঞ্চে চলবে বিচারকাজ

সিনহার বইয়ের পেছনে কারা জড়িত, কোন সংবাদপত্র কিনা, খুঁজে বের করুন: প্রধানমন্ত্রী

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শনিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
  • ১৯২ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ ডেস্ক: সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার আত্মজীবনী প্রকাশের পেছনে কারা রয়েছেন, তা খুঁজে বের করতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি এ ব্যাপারে জানেন।নিউ ইয়র্কের স্থানীয় সময় শুক্রবার জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে এক সংবাদ সম্মেলন একথা বলেন তিনি।

২০১৭ সালের অক্টোবরের শুরুতে ছুটিতে যাওয়া তখনকার প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা নানা ঘটনাবলীর মধ্যে পদত্যাগের পর এক বছরের মাথায় বিদেশে বসে বই লিখে নতুন করে আলোচনায় এসেছেন।

বইতে সিনহা লিখেছেন, ২০১৭ সালে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার পক্ষে ঐতিহাসিক এক রায় দেয়ার পর বর্তমান সরকার আমাকে পদত্যাগ করতে এবং নির্বাসনে যেতে বাধ্য করে।এ ব্রোকেন ড্রিম: রুল অব ল, হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেমোক্রেসি শিরোনামে সিনহার আত্মজীবনীমূলক ৬১০ পৃষ্ঠার এই বইটি অ্যামাজনের কিন্ডেল সংস্করণে বিক্রি হচ্ছে। শনিবার ওয়াশিংটন ডিসিতে এই বইটি প্রকাশ করার কথা রয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি এ ব্যাপারে জানি, কিন্তু আমি আপনাদের বলব না। বরং আমি আপনাদের কাছ থেকে এ ব্যাপারে জানতে চাই এবং আমি চাই এই বই প্রকাশের পেছনে কারা রয়েছে তা আপনারা খুঁজে বের করবেন।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনে তার অংশগ্রহণ সম্পর্কে গণমাধ্যমকে অবহিত করতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, এই বইয়ের পাণ্ডুলিপি কতবার বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখান থেকে আনা হয়, তা সাংবাদিকদের খুঁজে বের করতে হবে।তিনি বলেন, এই বই প্রকাশনায় কারা অর্থ দিয়েছে এবং আপনাদের মতো কোন সংবাদপত্রের সাংবাদিক এর সঙ্গে জড়িত কিনা এবং কি পরিমাণ অর্থ দিয়েছে তা অনুগ্রহ করে উন্মোচন করুন।

‘কোন বড় আইনজীবী এই বইয়ের পান্ডুলিপি সংশোধন করে দিয়েছেন কিনা অথবা কোন সংবাদপত্র অথবা এর মালিক এর পৃষ্ঠপোষক কিনা তা আপনারা খুঁজে বের করুন।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এ সময় উপস্থিত ছিলেন। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন সংবাদ সম্মেলনে সূচনা বক্তব্য রাখেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন।

যুক্তরাষ্ট্রে সিনহার ভাইয়ের নামে একটি বাড়ি ক্রয় সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখানে বাড়ি কেনা কঠিন কিছু নয়। তিনি বলেন, বিপুল দামের কারণে বাংলাদেশে কেনা কঠিন। অর্থ জমা করলে যুক্তরাষ্ট্রে যে কোন ব্যক্তি বাড়ি কিনতে পারেন।

শেখ হাসিনা বলেন, কে এবং কীভাবে এই বাড়ি ক্রয় করেছে, সে ব্যাপারে আমার কাছে কোন তথ্য নেই। আপনারা খুঁজে বের করুন এবং তথ্য দিন। যদি কোনো ব্যক্তি এ ব্যাপারে দোষী সাব্যস্ত হয় তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী সাইবার অপরাধ এখন একটি আলোচ্য বিষয়। সব দেশ এর দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।তিনি বলেন, আমরা সাইবার অপরাধের বিরুদ্ধে এই আইন প্রণয়ন করেছি, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে নয়। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের পর সাইবার অপরাধ এখন একটি বৈশ্বিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সাংবাদিকদের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা সবসময় আইনের শুধু একদিক দেখেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদেও সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সবাই এ ব্যাপারে শঙ্কিত। কারণ বিভিন্ন সামাজিক অপরাধ, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদী কার্যক্রমকে সাইবারের মাধ্যমে উসকে দেয়া হয়।

শিশু থেকে তরুণ পর্যন্ত সবাই যখন ভুল পথে চলে যাচ্ছে অথবা মানসিক ভারসাম্যতা হারিয়ে ফেলছে, তখন বিভিন্ন সামাজিক ও ডিজিটাল মাধ্যম নিয়ন্ত্রণ অপরিহার্য কিনা প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন করেন।তিনি বলেন, যদি কোন সাংবাদিক সুষ্ঠু সাংবাদিকতার চর্চা করেন তাহলে তিনি কেন শঙ্কিত হবেন? সূত্র: বাসস।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচবি

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com