বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) প্রথম নারী পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন জিনা হ্যাসপল। বৃহস্পতিবার দেশটির সিনেটের ভোটাভুটিতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মনোনীত হ্যাসপলের নিয়োগ ৫৪-৪৪ ভোটে অনুমোদন পায়। তবে বিতর্কিত জিজ্ঞাসাবাদ কৌশল ব্যবহারের কারণে হ্যাসপলের বিরুদ্ধে বেশ সমালোচনা রয়েছে। খবর বিবিসি।
খবরে বলা হয়েছে, ৬১ বছর বয়সী হ্যাসপলের তিন দশকের ক্যারিয়ারের একটি বড় অংশ কেটেছে আন্ডার কাভার এজেন্ট হিসেবে। ৯/১১ হামলার পর ২০০২ সালে তাকে থাইল্যান্ডে সিআইএর এক বন্দিশিবিরের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ওই বন্দিশিবিরে ওয়াটারবোর্ডিংয়ের (কাপড়ে মুখ বেঁধে পানি ঢালা, যাতে বন্দির ডুবে যাওয়ার অনুভূতি হয়) মত বিতর্কিত পদ্ধতি প্রয়োগ করে নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে।
সিআইএ পরিচালক মাইক পম্পেও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পেলে সেই জায়গায় উপ-পরিচালক জিনা হ্যাসপলকে মনোনীত করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
বিরোধী দলে থাকা ডেমোক্র্যাটদের পাশাপাশি ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টির কয়েকজন সিনেটরও হ্যাসপলের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করে আসছিলেন।
রিপাবলিক সিনেটর জন ম্যাককেইন ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় সে দেশের কারাগারে পাঁচ বছর বন্দি থাকা অবস্থায় নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। তিনি আগেই জানিয়েছিলেন, সিআইএ পরিচালক পদে তার সমর্থন হ্যাসপল পাবেন না।
মস্তিষ্কের ক্যান্সারে আক্রান্ত ম্যাককেইন বৃহস্পতিবারের ভোটাভুটিতে উপস্থিত ছিলেন না। তবে ডেমোক্রেটিক পার্টির ছয়জন সিনেটর দলের অবস্থানের বাইরে গিয়েই হ্যাসপলের মনোনয়নের পক্ষে ভোট দেন।
তাদের একজন ভার্জিনিয়ার সিনেটর মার্ক ওয়ার্নার বলেছেন, ওই ধরনের জিজ্ঞাসাবাদ কৌশল ফিরিয়ে আনা সিআইএ-এর উচিৎ হয়নি বলেই মনে করেন জিনা হ্যাসপল। এমনকি প্রেসিডেন্ট বললেও ওই ধরনের পদ্ধতি তিনি আর ব্যবহার করার অনুমতি দেবেন না বলে কথা দিয়েছেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএস