বাংলা৭১নিউজ ডেস্ক: সালমান খান অভিনীত সদ্য মুক্তি পাওয়া ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’ ছবির সাফল্যের সঙ্গে নাকি জড়িয়ে আছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অবাক হচ্ছেন? জানা গেছে, সুপারহিট এই ছবির গল্প প্রধানমন্ত্রীর দ্বারা অনুপ্রাণিত। আর তা প্রকাশ করেছেন ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’ ছবির গল্পকার এবং পরিচালক আলী আব্বাস জাফর।
২০১৪ সালে ইরাকে ঘটে যাওয়া এক মিশনকে ভিত্তি করে ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’ ছবির গল্প লিখেছেন আলী আব্বাস জাফর। ইরাকে ভারতের ৪৬ জন সেবিকাকে আতঙ্কবাদীরা বন্দী করে রাখে। সংকটের মুখোমুখি হয় ভারত সরকার। ৪৬ জন সেবিকার জীবন-মৃত্যু ভারত সরকারের হাতে। আর তখন দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে ক্ষমতায় আসেন নরেন্দ্র মোদি। এই চরম সংকটের সময় মোদি সবাইকে আশ্বস্ত করে বলেন, একটি প্রাণও ঝরে যাবে না।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের তৎপরতায় টানা ১০ দিনের অভিযানে আতঙ্কবাদীদের হাত থেকে উদ্ধার করা হয় ৪৬ জন সেবিকাকে। এই সেবিকাদের ভারতে তাঁদের পরিবারের কাছে অক্ষত অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এ অভিযানে একটি গুলিও ব্যবহার করা হয়নি। নরেন্দ্র মোদি অত্যন্ত বুদ্ধি এবং দক্ষতার সঙ্গে এই কঠিন পরিস্থিতি সামলান এবং সফল হন।
আলী আব্বাস বলেন, ‘ঘটনাটি আমাকে ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত করে। আর ইরাকের বুকে ঘটে যাওয়া এই ঘটনাকে ভিত্তি করে আমি গল্প লেখা শুরু করি। পরে এর নাম দেওয়া হয় “টাইগার জিন্দা হ্যায়”। এই ছবিতে আমরা চেয়েছিলাম নরেন্দ্র মোদিকে শ্রদ্ধা জানাতে। ছবিতে ভারতীয় নার্সদের উদ্ধারের সময় টাইগারকে পরেশ রাওয়াল প্রশ্ন করেন, “প্রধানমন্ত্রী এই মিশন সম্পর্কে জানেন তো?” আসলে সংলাপটি ছিল, “মোদি জি কো পাতা হ্যায়।” আমি তাঁকে এবং এই অভিযানকে এর মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েছি। সেন্সর বোর্ড “মোদিজি”কে “পিএম সাহাব”-এ পরিবর্তন করতে বলে। আমরা তাদের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাই। অভিযানের সময় যা যা ঘটেছিল, ছবিতে আমরা তা তুলে ধরিনি। আসল অভিযানে একটা গুলিও ব্যবহার করা হয়নি। কিন্তু আমার ছবিটি পুরোপুরি অ্যাকশনধর্মী।’
সালমান খান ও ক্যাটরিনা কাইফ অভিনীত ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’ ছবিটি মাত্র ছয় দিনে ১৯০ কোটি রুপির বেশি আয় করেছে।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস