বাংলা৭১নিউজ, মাদারীপুর প্রতিনিধি: মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার কদমবাড়ী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বাবুল মজুমদারের বড় ছেলে মিহির এর স্ত্রী অঞ্জনা শ^শুর মেম্বারের বাড়িতে ৩দিন ধরে স্বামীর অধিকার আদায়ের জন্য আ-মরণ অনশন করে আসছে । তাকে স্ত্রী হিসেবে মেনে না নেয়া পর্যন্ত শ^শুর বাড়ীতেই আ-মরন অনশনে থাকবেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। অঞ্জনা বাড়ীতে আসার পর মেম্বার, তার ছেলে ও পরিবারের সকলে বাড়ী থেকে অন্যস্থানে গিয়ে সকল প্রকার যোগাযোগ বন্ধ করে রেখেছে।
অনশনকারী নারী অঞ্জনা মন্ডল জানান, বাবুল মজুমদারের ছেলে মিহির মজুমদারের সাথে তাদের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক থেকেই গত বছরের ১৫ নভেম্বর রাজৈর কালী মন্দিরের পুরোহিতের মাধ্যমে বিয়ে করেন এবং গত বছরের ৪ ডিসেম্বর মাদারীপুর জজ কোর্টে কোর্ট ম্যারেজ করেন। কিন্তু বাবুল মজুমদার বিষয়টি মেনে নিতে চাচ্ছে না এবং বিষয়টি ধামাচাপা ও তালাক দেয়ার জন্য তাকে এর আগেও শারীরিক ও মানসিকভাবে নিযার্তান করেছেন এবং এখনো করছেন । অবশেষে নিরুপায় হয়ে আমি অঞ্জনা মন্ডল স্বামীর অধিকার আদায়ের জন্য অনির্দিষ্টকালের জন্য মেম্বার বাবুল মজুমদারের বাড়িতে আ-মরণ অনশন করছি। স্ত্রী হিসেবে মেনে না নেয়া পর্যন্ত শ^শুর বাড়ীতেই আ-মরন অনশনে থাকবো।
অঞ্জনা মন্ডল আরো বলেন, মিহিরের সাথে ভালোবাসার সম্পর্ক থেকেই দুজনের ইচ্ছে বিয়ে হয়। বিয়ের পরে আমরা ঢাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতাম । পরে আমার শ^শুর ইউপি মেম্বার আমাদের বুঝিয়ে শুনিয়ে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ীতে নিয়ে আসে। পরে আমাকে শারীরিক নির্যাতন করে জোরপূর্বক বাবার বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয়।
সর্বশেষ গ্রাম্য শালিসদের কাছে একমাসের সময় চায় সমস্য সমাধানের। কয়েক মাস পার হলেও কোন ফল না পেয়ে আমি এখানে শ^শুর বাড়ীতে আসতে বাধ্য হয়েছি।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ছেলের পরিবারের কেউ বাড়ীতে নেই। কোথায় গেছে জানতে চাইলে প্রতিবেশিরা কেউ সঠিক তথ্য দিতে পারছে না।
এ ব্যাপারে এলাকার কয়েকজন গন্যমান্য ব্যক্তি (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা সালিশের সময় ছিলেন এবং মেয়েটিকে সীকৃতি দেয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু ছেলের বাবা ইউপি সদস্য হওয়ায় কারো কথায় কর্নপাত করেনি। এখন যে পরিস্থিতি হয়েছে তাতে আইনের সাহায্য নেয়া উচিৎ।
মেয়ের খালাতো ভাই ভবোতোষ সরকার বলেন, মিহিরের স্ত্রী যে অঞ্জনা মন্ডল তার আইনগত প্রমান আমাদের কাছে আছে। আমি চাই আমার বোনকে স্ত্রীর মর্যাদা যেন দেয়া হয়। তা না হলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।
এব্যাপারে মিহিরের পিতা বাবুল মজুমদারের (ইউপি মেম্বার) সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল মোর্শেদ বলেন, আমরা বিষয়টি জানতাম না। এখন জেনেছি তাই আমরা খোজ নিয়ে দেখছি। প্রয়োজনে সকল প্রকার আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস