বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে দেয়া বিচার বিভাগের রায়ের বিকৃত ব্যাখ্যা দিয়ে দেশে অহেতুক বিতর্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে প্রকারান্তরে বিচার বিভাগের ওপর হস্তক্ষেপের চেষ্টা চলছে। এই প্রবণতা সত্যিই দুঃখজনক। সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিজের অবস্থানের কারণে আওয়ামী লীগের সমালোচনার জবাবে তিনি বলেছেন, শুধু আমার একার যুক্তি ছিল না, আরও সাতজন সিনিয়র ল’ইয়ার আমার সঙ্গে একমত হয়েছেন, সাতজন জাজ পুরো একমত হয়ে রায়টি দিয়েছেন। আমরা তো সবাই পাগল হয়ে যাইনি। আজ শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে দলের বর্ধিত সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন ড. কামাল হোসেন। ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় আপিল বিভাগে বহাল রাখার পর এ নিয়ে সংসদ অধিবেশনে ড. কামালের ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করেছিলেন এমপিরা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কামাল হোসেন বলেন, তার যুক্তি তিনি লিখিতভাবে আদালতে উপস্থাপন করেছেন। আওয়ামী লীগের নেতারা তার অপরিচিত কেউ নন। তারা চাইলে এই বক্তব্যের অনুলিপি তিনি তাদের কাছে পাঠিয়ে দেবেন।
আরেক প্রশ্নের জবাবে কামাল হোসেন বলেন, বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের হাতে থাকা উচিত নয়। প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রীকে সংসদ অভিশংসন করতে পারে। এ ক্ষেত্রে ‘সংবিধানের ব্যালান্সে’ আঘাত আসে না। তিনি বলেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতার লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বুঝতে হবে। বিচার বিভাগ হলো সংবিধানের অভিভাবক। বিচার বিভাগকে রেফারির ভূমিকা দেওয়া হয়। অন্য অঙ্গগুলো ক্ষমতার লঙ্ঘন করলে একজনকে সিটি বাজাতে হবে। লাল কার্ড দেখাতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন, সহসভাপতি সুব্রত চৌধুরীসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস