বাংলা৭১নিউজ, বেনাপোল প্রতিনিধি: যশোরের সীমান্তবর্তী উপজেলা শার্শার ঘিবা গ্রামে যৌতুকের টাকার জন্য সীমা খাতুন (২০) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তিনি ঘিবা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী ও একই উপজেলার পুটখালী গ্রামের সদর আলীর মেয়ে।
পিতৃপক্ষের অভিযোগ যৌতুকের টাকার জন্যে তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। এদিকে স্বামীর দাবি, সংসারিক বিরোধের জেরধরে তার স্ত্রী গলায় ফাঁসদিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
শুক্রবার রাতে জাহাঙ্গীর গ্রামে প্রচার করে তার স্ত্রী গলায় ফাঁসদিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরে পরিবারের লোকজন পুলিশে খবর দিলে বেনাপোল থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদšেতর জন্যে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
মৃতের পিতা সদর আলী অভিযোগ করে বলেন, তার মেয়ে সীমাকে স্বামীর বাড়ির লোকজন তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে।
পিতা সদর আলী আরো জানান, এক বছর আগে শার্শা উপজেলার ঘিবা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের সাথে তার মেয়ে সীমা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় কোনো দাবি না থাকলেও বিয়ের পর থেকে যৌতুকের টাকার জন্যে প্রায় সময় জাহাঙ্গীর স্ত্রী সীমাকে নির্যাতন করে আসছিলো। মেয়ের সুখের কথা ভেবে সীমার পরিবার স্বামীর পরিবারকে এক লাখ টাকা দিয়েছেন। ঘটনার দিন রাতে জাহাঙ্গীর আবারও স্ত্রী সীমার বাপের বাড়ি থেকে ত্রিশ হাজার টাকা যৌতুক আনতে বলে। স্ত্রী টাকা আনতে অস্বীকার করলে স্বামীর বাড়ির লোকজন তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ঘরের আড়ার সাথে লাশ ঝুলিয়ে দেয়।
বেনাপোল পোর্ট থানার সেকেন্ড অফিসার হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, মৃতের পরিবার হত্যার অভিযোগ করছেন। তবে মৃতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারন জানতে ময়নাতদšত রিপোর্ট না আসা পর্যšত অপেক্ষা করতে হবে। রিপোর্ট হাতে পেলেই বলা সম্ভব এটি হত্যা না আত্মহত্যা। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস