শরীয়তপুর পুলিশ লাইন্সে চলা পুণাক হস্ত, কুটির শিল্প ও পণ্য মেলার গাড়ি পার্কিং থেকে তিনটি মোটরসাইকেল চুরির খবর পাওয়া গেছে।
সোমবার (১৮ জুলাই) রাতে এ ঘটনা ঘটে। তবে দুটি মোটরসাইকেল চুরির কথা জানিয়েছে পুলিশ।
শরীয়তপুর সদর উপজেলার কারাভোগ এলাকার বাসিন্দা আসাদুল্লাহ গালিব। সোমবার রাত ৮টা ২৪ মিনিটে মোটরসাইকেল নিয়ে পুলিশ লাইন্সের মেলায় যান। নির্ধারিত জায়গায় রেখে মেলায় ঢুকেন। পরে রাত ৮টা ৩৪ মিনিটে এসে দেখেন মোটরসাইকেলটি চুরি হয়ে গেছে।
গালিব বলেন, আমার ইয়ামাহা ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেলের মূল্য ৫ লাখ টাকা। মেলা থেকে বের হয়ে দেখি মোটরসাইকেলটি নাই। পরে মামা টুটুল থানায় বিষয়টি মৌখিকভাবে জানিয়েছেন।
সাদিকুর রহমান নিশাদ নামের এক যুবকেরও ইয়ামাহা ব্যান্ডের একটি মোটরসাইকেল চুরি হয়। তিনি বলেন, সোমবার আমারসহ চারটি বাইক নিয়ে শরীয়তপুর পুলিশ লাইন্সে মেলা দেখতে যাই। নির্ধারিত জায়গায় বাইক রেখে সন্ধ্যায় মেলায় ঢুকি। পরে রাত ৯টায় বাড়িতে যাব এমন সময় বাইকের কাছে গেলে অন্য তিনটা বাইক পেলেও আমরাটা পাইনি। থানায় মৌখিকভাবে জানিয়েছি।
চুরি হওয়া সুজুকি ব্র্যান্ডের আরেকটি মোটরসাইকেলের মালিক আরবিন মাহমুদ সরদার বলেন, ‘সোমবার রাত ৮টা ১২মিনিটে সুজুকি ব্র্যান্ডের (জিক্সার এসএফ) মোটরসাইকেল নিয়ে মেলায় যাই। ৮টা ৩৪মিনিটে গিয়ে দেখি মোটরসাইকেলটি চুরি হয়ে গেছে। শখের ৩ লাখ টাকার মোটরসাইকেলটি হারালাম।
তবে সদরের পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আক্তার হোসেন দুটি মোটরসাইকেল চুরির কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, দুটি মোটরসাইকেল চুরি হয়েছে। মোটরসাইকেল চুরি হওয়ার ঘটনায় মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। সিসিটিভির ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।
এরআগে গত কয়েকদিনে শরীয়তপুরে চোর চক্রের পাঁচ সদস্যকে চোরাই ছয় মোটরসাইকেল ও একটি অটোরিকশাসহ গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনায় সোমবার (১৮ জুলাই) দুপুরে শরীয়তপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ সুপার এসএম আশরাফুজ্জামান প্রেস ব্রিফিং করেন।
এ সময় নড়িয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম মিজানুর রহমান, নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম উপস্থিত ছিলেন। প্রেস ব্রিফিংয়ের কয়েক ঘণ্টা পর শরীয়তপুর পুলিশ লাইন্স থেকে তিনটি মোটরসাইকেল চুরি হয়।
বাংলা৭১নিউজ/এসএস