রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০২:৪৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
টানা ৮ দফা কমার পর ফের বাড়লো সোনার দাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সরকারের পাতানো ফাঁদ: আব্বাস আশুগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ২ ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ এবি ব্যাংকের লভ্যাংশ ঘোষণা রূপালী ব্যাংকের ঢাকা উত্তর বিভাগীয় ব্যবসায়িক সম্মেলন অনুষ্ঠিত রোববার দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা স্বাধীন ফিলিস্তিন ইস্যুতে সমাবেশের ডাক ছাত্রলীগের ৮ মের উপজেলা নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে যে নির্দেশনা দিল ইসি ফের বাংলাদেশে আশ্রয় নিলো মিয়ানমারের ৪০ বিজিপি সদস্য ট্রেন সার্ভিসের মাধ্যমে রাজধানীর চাপ কমে আসবে: চিফ হুইপ মৌলভীবাজারে পুলিশের বাধায় ছাত্রদলের মিছিল পণ্ড প্রেমের ফাঁদে ফেলে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা আদায়, গ্রেফতার ৭ পদ্মা-মেঘনায় মিলছে না ইলিশ, হতাশ জেলেরা ‘উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব খাটালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’ উত্তরায় লেক থেকে দুই স্কুল শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার রাশিয়ার সাথে সম্ভাব্য সংঘাতের প্রস্তুতি নিচ্ছে ন্যাটো : মস্কো খিলগাঁওয়ে রিকশাচালকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার ১৪ দিন পর ডেঙ্গুতে শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু হাসপাতালের ভবনের ফাঁক দিয়ে পড়ে রোগীর মৃত্যু রোববার থেকে আপিল বিভাগের দুটি বেঞ্চে চলবে বিচারকাজ

লুটে খাওয়ার টাকা ব্যাংকে নেই : সংসদে প্রধানমন্ত্রী

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় সোমবার, ১৭ জুন, ২০১৯
  • ৩৪ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: ব্যাংকের তারল্য সঙ্কটের অভিযোগের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বলা হচ্ছে ব্যাংকে টাকা নেই। ব্যাংকে টাকা থাকবে না কেন? অবশ্যই টাকা আছে। তবে লুটে খাওয়ার টাকা নেই।’

জাতীয় সংসদে সোমবার (১৭ জুন) চলতি (২০১৮-১৯) অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট নিয়ে বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের অসুস্থতার কারণে তার পক্ষে জাতীয় সংসদে সম্পূরক বাজেটের সমাপনী বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী।

মঞ্জুরি দাবিগুলো যেন পাস করে দেয়া হয় জাতীয় সংসদের স্পিকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যেটা খরচ হয়ে গেছে সেটার ব্যাপারে কিছুই করার নেই। সেটা পাস করে দেন। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, এগিয়ে যাব।’

তিনি বলেন, ‘কোনো মানুষের যদি উচ্চাভিলাষ না থাকে তিনি কোনো কিছু অর্জন করতে পারেন না। উচ্চাভিলাষ না থাকলে এসব অর্জন কোনোভাবেই সম্ভব হতো না। তবে বিগত বছরের বাজেট বাস্তবায়ন, পরিসংখ্যান এটাই প্রমাণ করে আমাদের লক্ষ্যসমূহ সবসময় বাস্তবভিত্তিক ছিল।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাস্তবতা হলো বাজেটে কিছুটা সংশোধন, সংযোজন ও পরিমার্জনের প্রয়োজন হয় এবং আমরা প্রতি বছরই সেটা করি। এটা আমাদের দেশে বলে নয়, পৃথিবীর সব দেশে বাজেটে প্রস্তাবনা দেয়। যেমন আমি এ বছর যে প্রস্তাবনা নিয়ে আসছি ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য। সেখানে আমরা একটা ধারণা করি যে আমরা কত রাজস্ব আয় করব।’

তিনি বলেন, ‘সেই সঙ্গে উন্নয়নের বাজেটটা আমরা ঠিক করি। কোন লক্ষ্যে পরিচালিত হবে সেটা সুনির্দিষ্ট করি। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আমরা যে বাজেটটা দিয়েছিলাম সেটাতেই পরিবর্তন পরিমার্জন করে সংশোধনী বাজেটের প্রস্তাব আনা হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, ‘২০১৮-১৯ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে গ্রস বরাদ্দ ৫ লাখ ৪৯ হাজার ৬৫২ কোটি টাকা এবং নিট বরাদ্দ ৪ লাখ ৪২ হাজার ৫৪১ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। মূল বাজেটে ৬২টি মন্ত্রণালয় অন্যান্য বিভাগ ও প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে নিট ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। সংশোধিত বাজেটে ৩৭টি মন্ত্রণালয়ে অথবা বিভাগের গ্রস বরাদ্দ ১৫ হাজার ১৬৬ কোটি টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। ২৫টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের গ্রস বরাদ্দ ৩৬ হাজার ৩৪৮ কোটি টাকা হ্রাস পেয়েছে। সার্বিকভাবে নিট ২২ হাজার ৩৩ কোটি টাকা হ্রাস পেয়ে সংশোধিত বরাদ্দ দাঁড়িয়েছে নিট ৪ লাখ ৪২ হাজার ৫২৮ কোটি টাকা। ৩৭টি মন্ত্রণালয় বা বিভাগের বিপরীতে সম্পূরক মঞ্জুরি ও বরাদ্দের দাবি ১৫ হাজার ১৬৬ কোটি টাকা। তারমধ্যে দায়যুক্ত ব্যয় ১ হাজার ১১৯ কোটি টাকা এবং অন্যান্য ব্যয় ১৪ হাজার ৪৭ কোটি টাকা।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেট ও সংশোধিত বাজেট নিয়ে অনেক আলোচনা, অনেক কথা বাইরেও হচ্ছে এখানেও হচ্ছে। কেউ কেউ বলছেন, এ বাজেট কিছুই না। যারা এ ধরনের মানসিকতা নিয়ে কথা বলছেন তাদের কাছে আমার এটাই প্রশ্ন, বাজেটই যদি সঠিকই না থাকে মাত্র ১০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ এত উন্নতি করল কীভাবে?’

তিনি বলেন, ‘কেউ বলছেন, বাজেট দিয়েছেন বাস্তবায়ন করতে পারেননি। বাজেট বাস্তবায়ন একটা বিষয় আছে। আমরা বাজেট উপস্থাপন করছি জুন মাসে। এক বছর পর আবার বাজেট দেব। এক বছরে আমাদের যে বাজেট বিশেষ করে উন্নয়ন বাজেট যেটা আমরা বস্তবায়ন করি। আমাদের একটা নিয়ম আছে মাঝামাঝি সময় একটা হিসাব নেই। পরিমার্জন সংশোধন করে থাকি যাতে অর্থটা যথাযথভাবে কাজে লাগে। সেটাই সম্পূরক হিসেবে পরিবর্তিত উপস্থাপন করে থাকি।’

‘বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারি না, সেটা যদি বলে, তাহলে ৬১ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেয়েছিলাম ২০০৮ সালে। আজকে সেখানে ৫ লাখ কোটি টাকার ওপরে চলে গেছে বাজেট। এটা তাহলে আমরা করলাম কীভাবে? যদি আমাদের বাস্তবায়নের দক্ষতাই না থাকে। কাজেই আমি বলব উন্নয়নের সুযোগটা সবাই নিচ্ছে। বিদ্যুৎ নিয়ে অনেকে কথা বলেছেন, যে বিদ্যুৎ এতো উৎপাদন হলো তাহলে শতভাগ পায় না কেনো। বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো সবসময় চালু থাকে না। প্রত্যেক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সংস্কার করতে হয়, বন্ধ থাকে। আজ ৯৩ ভাগ মানুষ কিন্তু বিদ্যুৎ পাচ্ছে। গ্রামেগঞ্জে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশও হয়ে গেছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আরেকটা কথা এসেছে যে, ব্যাংকে টাকা নেই। ব্যাংকে টাকা থাকবে না কেনো? অবশ্যই টাকা আছে। তবে লুটে খাওয়ার টাকা নেই। আর যারা লুটে নিয়েছে তাদের আমরা চিনি। অনেকেই ব্যাংক থেকে প্রচুর টাকা নিয়ে আর কোনোদিন দেয়নি। আবার দুর্নীতির দায়ে কারও বিরুদ্ধে মামলাও আছে। এ রকম বহু ঘটনা আছে। এটা সময় আসলে এ ব্যাপারে আমরা আরও আলোচনা করতে পারব।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে বলেই আজকে উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনে আমরা অনেক উন্নত দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারছি। যা দেখে বিশ্ব অবাক হচ্ছে। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের কাছে উন্নয়নের বিস্ময়। যেখানে যাই সেই কদরটা পাই, দেশবাসী সেই সম্মানটা পায়। অযথা কিছু কিছু কথা বলে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত না করাই ভালো। আমরা যদি কাজই না করতাম তাহলে দারিদ্র্যের হার ৪০ ভাগ থেকে কমে ২১ ভাগে নেমে আসতো না। ২১ ভাগ থেকে আরও নামাব।

বাংলা৭১নিউজ/এসআর

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com