শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৫:৩৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
‘উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব খাটালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’ উত্তরায় লেক থেকে দুই স্কুল শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার রাশিয়ার সাথে সম্ভাব্য সংঘাতের প্রস্তুতি নিচ্ছে ন্যাটো : মস্কো খিলগাঁওয়ে রিকশাচালকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার ১৪ দিন পর ডেঙ্গুতে শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু হাসপাতালের ভবনের ফাঁক দিয়ে পড়ে রোগীর মৃত্যু রোববার থেকে আপিল বিভাগের দুটি বেঞ্চে চলবে বিচারকাজ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের বিএসসি মর্যাদার দাবিতে মাসব্যাপী কর্মসূচি রেলের ভাড়া বাড়ানো অযৌক্তিক: জি এম কাদের যানবাহনে স্টিকার দেখলেই আটকাচ্ছে পুলিশ উদ্যোক্তারাই দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির কাণ্ডারি মৎস্যসম্পদ রক্ষা করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের চেষ্টা করতে হবে ফ্ল্যাটের ভুয়া দলিল দেখিয়ে শত কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ নেয় চক্রটি চার জেলার সড়কে ঝরলো ১০ প্রাণ মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রীকে ডিবিতে ডাকা হয়েছে : হারুন সরকার পরিচালনাকারী সবাই ফেরেশতা নয় : তথ্য প্রতিমন্ত্রী ট্যানারি শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২২ হাজার ৭৭৬ টাকা করার প্রস্তাব পেঁয়াজ রপ্তানি থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলল ভারত তীব্র দাবদাহ বিপুল নকল ওরস্যালাইন জব্দ, গ্রেফতার ৩ জন ‘মুসলিমদের একাত্মতা ফিলিস্তিন সংকট সমাধানে ভূমিকা রাখবে’

রোহিঙ্গা নারীর ৭ সন্তান ও স্বামীসহ ৬০ আত্মীয় খুন

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৭
  • ৭৬ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ ডেস্ক: মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গণহত্যাকালে এক রোহিঙ্গা নারীর ৭ সন্তান ও স্বামীসহ তার পরিবারের অন্তত ৬০ সদস্যকে হত্যা করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। আলমাস খাতুন নামের এই রোহিঙ্গা নারী নিজের চোখের সামনে তাদের খুন হতে দেখেছেন। তাকেও হত্যার চেষ্টা করা হয়। স্বামী-সন্তান ও আত্মীয়স্বজন হারিয়ে একেবারে নিঃস্ব এই নারীর মতো বহু রোহিঙ্গা নারী পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন।

সম্প্রতি খ্যাতনামা সংবাদমাধ্যম স্টাফকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে রাখাইনের তুলাতলি গ্রামের বাসিন্দা ৪০ বছর বয়সী আলমাস খাতুন তার ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন।

আলমাস বলেন, ‘আমার চোখের সামনেই হত্যা করা হয়েছে আমার পরিবারের সবাইকে। তিনি আরও জানান, সবচেয়ে ভয়াবহ গণহত্যার অংশ হিসেবে তাদের গ্রামে চালানো হয় নির্বিচার হত্যাকাণ্ড ও গণধর্ষণ, রোহিঙ্গা মুসলিমদের টার্গেট করে জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে ঘরবাড়ি।’

আলমাস জানান, ৩০ আগস্ট সেনারা গোলাগুলি ও হইচই করতে করতে তাদের গ্রামে প্রবেশ করে। এখনও প্রতিরাতে সেই দিনের সেই ভয়াবহ দৃশ্য দুঃস্বপ্ন হয়ে ফিরে আসে।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘একজন সেনা তার তিন মাসের বাচ্চাকে তার কোল থেকে কেড়ে নেয় এবং ছুরি দিয়ে তার পেট চিড়ে ফেলে। এরপরই তাদের বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেয় সেনারা।’

অশ্রুসিক্ত নয়নে তিনি আরও বলেন, ‘তারা আমার বৃদ্ধ বাবাকে গুলি করে। তার মুখের মধ্যে একটা লাঠি ঢুকিয়ে দেয় এবং গলা চিড়ে ফেলে। সন্তানদের কথা আমার সবসময় মনে পড়ে। তারা আমার অন্য সন্তানদের আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে। আমি তাদের বাঁচাতে পারিনি। আমার হৃদয় ভেঙে যায়। তারা একে একে আমার সাত সন্তান, আমার স্বামী ও তার দুই ভাইকে হত্যা করে।’

আলমাস জানান, তার আত্মীয়স্বজনও একই গ্রামে পাশাপাশি বাড়িতে বাস করতেন। তাদেরও একইভাবে হত্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘তাদের অনেককে বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা জবাই করে হত্যা করেছে।’ শরণার্থী শিবিরের আরও বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা গণহত্যার সাক্ষ্য দিয়েছেন। তারা প্রায় সবাই বলেছেন, হামলাকারীদের মধ্যে বহু বৌদ্ধ সন্ন্যাসীও ছিল।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com