বাংলা৭১নিউজ, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: রোহিঙ্গাদের হেফাজত কামনায় শোলাকিয়ায় দেশের বৃহত্তম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ৯টায় কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ময়দানে নজিরবিহীন নিরাপত্তায় এই ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এটি ছিল ঈদুল আজহার ১৯০তম জামাত। শনিবার সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত জামাতে ইমামতি করেন শামছুদ্দিন ভূঁইয়া জামে মসজিদের খতিব মুফতি হিবজুর রহমান।
নামাজ শেষে মিয়ানমারে গণহত্যা থেকে রোহিঙ্গাদের রক্ষা ও তাদের হেফাজত করাসহ মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
ঈদ মোনাজাতে রোহিঙ্গাদের দুরবস্থা, তাদের মানবেতর জীবনযাপন এবং অনেক রোহিঙ্গাদের মৃত্যু হয়েছে উল্লেখ করে তাদের এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা হয়। এছাড়া মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর হাতে নিহত রোহিঙ্গাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।
এতে কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক আজিমুদ্দিন বিশ্বাস ও পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন খানসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, রাজনীতিকবিদসহ সর্বস্তরের হাজার হাজার মানুষ জামাতে অংশগ্রহণ নেন।
তবে এবার ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে চার স্তরের নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। তিন প্লাটুন বিজিবিসহ র্যা ব, পুলিশ, আনসার বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বে মোতায়েন করা হয়। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি করে মাঠে ঢুকতে দেওয়া হয় মুসল্লিদের।
জামাতে অংশগ্রহণ করতে সকাল থেকেই মুসুল্লিদের ঢল নামে জেলা শহরের পূর্বপ্রান্তের নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত শোলাকিয়া ঈদগাহে। ঈদ জামাতে দূর-দূরান্ত থেকে মুসল্লিদের অংশগ্রহণের সুবিধার্থে ‘শোলাকিয়া স্পেশাল’ নামে দুটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়। এর একটি ট্রেন ভোর পৌনে ৬টায় ময়মনসিংহ থেকে এবং অপর ট্রেনটি সকাল ৬টায় ভৈরব থেকে ছেড়ে বিপুল সংখ্যক মুসুল্লি নিয়ে কিশোরগঞ্জ শোলাকিয়া মাঠের উদ্দেশে ছেড়ে আসে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস