বাংলা৭১নিউজ ডেস্ক: রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে এটি তার ৪০০তম ম্যাচ, আর ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় ১৫০তম। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো দুটি মাইলফলকের ম্যাচ স্মরণীয় করে রাখলেন জোড়া গোলে। গ্যারেথ বেল একটি গোল আর একটি অ্যাসিস্ট করে দেখালেন ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচের’ পারফরম্যান্স। তাতে অপেক্ষা ফুরাল রিয়াল মাদ্রিদের। চ্যাম্পিয়নস লিগে সিগনাল ইদুনা পার্কে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে প্রথম জয় পেল ‘লস ব্ল্যাঙ্কোস’রা।
জার্মান ক্লাবটির মাঠে বুধবার রাতে ‘এইচ’ গ্রুপের ম্যাচটি রিয়াল মাদ্রিদ জিতেছে ৩-১ গোলে। ম্যাচের প্রথমার্ধে রিয়ালকে এগিয়ে দিয়েছিলেন বেল। দ্বিতীয়ার্ধে জোড়া গোল করেন রোনালদো। ডর্টমুন্ডের হয়ে পিয়েরে-এমেরিক অবামেয়াং একটি গোল শোধও করেছেন দ্বিতীয়ার্ধেই।
এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগে গতবারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ জিতল প্রথম দুই ম্যাচেই। দুই ম্যাচেই জোড়া গোল করলেন দলের সেরা তারকা রোনালদো। রিয়ালের ঠিক উল্টোটা ডর্টমুন্ডের। তারা হারল প্রথম দুই ম্যাচেই!
ডর্টমুন্ডের মাঠে আগের ছয় ম্যাচে জয়শূন্য ছিল রিয়াল মাদ্রিদ। তিনটি ম্যাচ ড্র হয়েছিল, বাকি তিনটিতে রিয়াল হেরেছিল। সিগনাল ইদুনা পার্কে জয়খরা কাটানোর পথে রিয়াল এগিয়ে যায় ম্যাচের ১৮ মিনিটে বেলের দুর্দান্ত এক গোলে। দানি কারবাহালের ক্রস থেকে ২৮ বছর বয়সি ওয়েলস উইঙ্গারের চমৎকার ভলি খুঁজে নেয় স্বাগতিকদের জাল।
অবশ্য এর চার মিনিট আগে এগিয়ে যেতে পারত ডর্টমুন্ডই। জার্মান ফরোয়ার্ড মাক্সিমিলিয়ান ফিলিপের শট রিয়াল গোলরক্ষক কেইলর নাভাস ঠিকমতো ফেরাতে ব্যর্থ হলে গোলমুখে সার্জিও রামোসের হাতে লাগে বল। পেনাল্টির জোরালো আবেদন করেন স্বাগতিক খেলোয়াড়রা। কিন্তু তাদের সেই আবেদনে সাড়া দেননি ডাচ রেফারি কুইপারস। তার আগে দশম মিনিটে রিয়ালের কারবাহাল সুযোগ নষ্ট করেন গোলরক্ষক বরাবর শট মেরে।
প্রথমার্ধের তুলনায় দ্বিতীয়ার্ধ ছিল বেশি রোমাঞ্চকর। ৪৯ মিনিটে রিয়ালের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রোনালদো। বেলের পাস থেকে ডি বক্সে বল পেয়ে বাঁ পায়ের শটে রিয়ালের হয়ে ৪১১তম গোলটা করেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড। পাঁচ মিনিট পরই অবামেয়াং একটি গোল শোধ করে ডর্টমুন্ডের সমতায় ফেরার আশা জাগিয়েছিলেন।
তবে ৭৯ মিনিটে স্বাগতিকদের সেই আশা ধুলোয় মিশিয়ে দেন রোনালদো। লুকা মদ্রিচের পাস থেকে শটে নিজের জোড়া গোল পূর্ণ করেন চারবারের ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়। নিশ্চিত করেন রিয়ালের জয়ও। ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ গোলদাতা রোনালদোর গোলসংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১০৯-এ।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস