বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: রাজধানীর বনানীতে নিজ কার্যালয়ে রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক সিদ্দিক মুন্সী নিহত হওয়ার ঘটনাকে ‘পরিকল্পিত হত্যা’ বলে মনে করছে পুলিশ।
এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে মাঠে নেমেছে পুলিশ ও র্যাবসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার একাধিক দল।
এরই মধ্যে তদন্তকারী পুলিশ ঘটনাস্থল ও আশপাশের বাড়ি এবং সড়কের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করেছে।
মঙ্গলবার রাতে বনানীর চার নম্বর রোডের ১৩ নম্বর বাড়িতে এমএস মুন্সী ওভারসিজের কার্যালয়ে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি চালায় ৩-৪ জন মুখোশধারী।
এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন প্রতিষ্ঠানটির মালিক সিদ্দিক মুন্সী (৫৫)। এ সময় আহত হন এর তিন কর্মী- মির্জা পারভেজ, মোস্তাক ও মোকলেস। ঘটনার পর তাদের উদ্ধার করে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে পারভেজের অবস্থা সংকটাপন্ন।
বুধবার পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মোশতাক আহমেদ বলেন, ধারণা করা হচ্ছে- পূর্বশত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে সিদ্দিক মুন্সীকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক দল কাজ শুরু করেছে বলে জানান ডিসি।
তিনি জানান, এরই মধ্যে বনানীর চার নম্বর রোডের ১৩ নম্বর বাড়িতে থাকা সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ।
এ ছাড়া আশপাশের বাড়ি ও সড়কে স্থাপিত সিসি ক্যামেরার ফুটেজও সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার রাতের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ঘটনাস্থলের পাশের বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী মোনেম আহমেদ জানান, রাত ৯টার দিকে তিনি হঠাৎ ৮-১০ রাউন্ড গুলির শব্দ শুনতে পান। কোথা থেকে গুলির শব্দ আসছে তা বোঝার জন্য তিনি বাসার সামনে দাঁড়ান।
তিনি বলেন, কিছু বুঝে ওঠার আগেই তিনি পাশের বাড়ি থেকে ৩-৪ জন মুখোশধারীকে দ্রুত বেরিয়ে যেতে দেখেন। এ দৃশ্য দেখে ভয়ে তিনি বাসায় ঢুকে পড়েন।
এদিকে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যাওয়ার পর আশপাশের বাসিন্দা ও পথচারীরা ওই বাড়ির সামনে ভিড় করেন। খবর পেয়ে ততক্ষণে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। পরে হতাহতদের উদ্ধার করে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস