বাংলা৭১নিউজ,নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলায় যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে খাদিজা আক্তার নামের এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। খাদিজা ফতুল্লার পাইকপাড়া এলাকার মৃত আবদুর রশিদের মেয়ে।
নিহত খাদিজার পরিবারের দাবি, ১২ মার্চ রাতে খাদিজার (২১) স্বামী ফরহাদ তাঁকে মারধর করে খাটের নিচে ফেলে রাখেন। পরদিন সকালে খাদিজার মা মুমূর্ষু অবস্থায় মেয়েকে উদ্ধার করে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতাল এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। গতকাল রোববার দুপুরে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। অভিযুক্ত ফরহাদ ফতুল্লার কাশিপুর এলাকার ইয়ার হোসেনের ছেলে। এই দম্পতির দেড় বছর বয়সী এক সন্তান রয়েছে।
নিহত খাদিজার বড় বোন ফজিলত বেগম বলেন, চার বছর আগে পারিবারিকভাবে খাদিজা ও ফরহাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য খাদিজাকে মারধর করা হতো। ১১ মার্চ এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন খাদিজা। অভিযোগের পরদিনই তাঁকে মারধর করা হয়। তবে পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। অভিযোগের বিষয়ে কথা বলার জন্য ফরহাদের মুঠোফোনে কল দিয়ে বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুর কাদের বলেন, ইতিমধ্যে এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে। ঘটনার আগে পুলিশের কাছে করা অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১১ মার্চ মারধরের অভিযোগ এনে একটি সাধারণ ডায়েরি হয়েছিল।
২৩ মার্চ গৃহবধূর পরিবার থেকে আরও একটি অভিযোগ দায়ের হয়। সেটা মামলায় রূপান্তরের আগেই তাঁর মৃত্যু হলো।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস