বাংলা৭১নিউজ, সিলেট ও রাজশাহী: সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলকে আবারও বরখাস্ত করা হয়েছে।
আজ দুপুরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়েরের এক আদেশে এ দুজনকে ফের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
মেয়রের চেয়ারে বসার দুই ঘণ্টার মাথায় আবার সাময়িক বরখাস্তের এই আদেশ পান সিসিকের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবিব জানান, দুপুর ২টার দিকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দেওয়া আদেশ কপি তার হাতে এসে পৌঁছে। এরপর তিনি কপিটি মেয়রের কাছে পাঠিয়ে দেন। তবে কেন আবার তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে তা বলতে পারেননি তিনি।
তবে নগর ভবনের একটি সূত্র জানিয়েছে, সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সমাবেশে বোমা হামলার মামলায় চার্জশিটভুক্ত আসামি হওয়ায় তাকে ফের সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে ২৭ মাস পর মেয়রের দায়িত্বে ফিরেছিলেন নির্বাচিত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
এদিকে বরখাস্তের দীর্ঘ ২৩ মাস পর আদালতের রায় হাতে নিয়ে আজ সকাল ১০টার দিকে নগর ভবনে যান রাসিক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। তবে তিনি নগর ভবনে গিয়ে দেখেন তার কক্ষটি তালাবদ্ধ। এ নিয়ে দেখা দেয় উত্তেজনা। পরে পুলিশের সহায়তা নিয়ে তালা ভেঙে কক্ষে প্রবেশ করে নিজের চেয়ারে গিয়ে বসেন।
অফিস কক্ষের তালা ভেঙে চেয়ারে বসা মাত্রই ফের বরখাস্তের খবর শোনেন রাসিক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
আজ বিকেল ৩টা পাঁচ মিনিটের দিকে ফ্যাক্সযোগে আদেশের কপিটি রাসিকে আসে। এর আগে ৩টা দুই মিনিটের দিকে মেয়র বুলবুল তার অফিস কক্ষে নিজের চেয়ারে গিয়ে বসেন। আদেশের খবর শুনে ৩টা ১২ মিনিটের দিকে তিনি বেরিয়ে যান।
এ সময় গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি জানান, যে কারণ দেখিয়ে তাকে বরখাস্তের আদেশ দেওয়া হয়েছে, সে কারণে আগেই তাকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। উচ্চ আদালতে তিনি দায়িত্ব ফিরে পেয়েছেন। তাই মন্ত্রণালয়ের এ আদেশ তিনি আমলে নিচ্ছেন না এবং আগামীকাল সোমবারও তিনি অফিস করবেন।
মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মেয়র বুলবুলের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার অভিযোগপত্র আদালতে গৃহিত হয়েছে। আর স্থানীয় সরকারের (সিটি করপোরেশন) ২০০৯ সালের আইনে মেয়রের নামে মামলার অভিযোগপত্র আদালতে গৃহিত হলে তাকে বরখাস্তের বিধান রয়েছে। তাই মেয়র বুলবুলকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।
২০১৫ সালের ৭ মে সিটি মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। ২০১৬ সালের ১০ মার্চ উচ্চ আদালত তার বরখাস্ত আদেশ অবৈধ ঘোষণা করেন।
গত মঙ্গলবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মাহমুদুল আলমের সই করা এক চিঠিতে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নে ভারপ্রাপ্ত মেয়র ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এরপরই আজ দায়িত্ব নিতে নগর ভবনে এসেছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল।
বাংলা৭১নিউজ/এন