বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: বিতর্কিত ব্যবসায়ী মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে করা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৩ জুন দিন ধার্য করেছেন আদালত। রোববার মামলার প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন তদন্ত সংস্থা শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এজন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুন্নাহার ইয়াসমিন প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী ওই দিন ধার্য করেন। এ নিয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৯ বার সময় নেয়া হল।
আদালত সূত্র জানায়, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) জাকির হোসেন বাদী হয়ে ২০১৭ সালের ৩১ জুলাই গুলশান থানায় এ মামলাটি করেন। মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে গাড়ি ক্রয়ে ২ কোটি ১৭ লাখ টাকা শুল্ক ফাঁকির অভিযোগ আনা হয়েছে। ‘কারনেট ডি প্যাসেজ’ সুবিধায় আনা ফারুক উজ-জামান চৌধুরীর নামে নিবন্ধিত রেঞ্জ রোভার গাড়ি ওই বছরের ২১ মার্চ মুসার ছেলের শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। মুসা ১৭ লাখ টাকা শুল্ক পরিশোধ দেখিয়ে ভুয়া বিল অব এন্ট্রি প্রদর্শন করে গাড়িটি বেনামে রেজিস্ট্রেশন করেন। ওই সময় জিজ্ঞাসাবাদে মুসা শুল্ক গোয়েন্দাদের লিখিতভাবে জানান, সুইস ব্যাংকে তার ৯৬ হাজার কোটি টাকা গচ্ছিত আছে। তবে তিনি ওই টাকার বিপরীতে ব্যাংক হিসাব বা উৎস দেখাননি। শুল্ক গোয়েন্দারা কয়েকবার নোটিশ দিলেও তিনি তা জমা দেননি।
১৯৯৭ সালে যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে লেবার পার্টির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী টনি ব্লেয়ারের নির্বাচনীয় প্রচারের জন্য ৫ মিলিয়ন ডলার অনুদান দেয়ার প্রস্তাব দিয়ে আলোচনায় আসেন বাংলাদেশের এ ব্যবসায়ী। এরপর তার অর্থের পরিমাণ নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: