বাংলা৭১নিউজ, ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুর জেলার চরভদ্রাসন উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর আলমনগর মধুসিকদারেরডাঙ্গির নিবাসী মুক্তিযোদ্ধা শেখ আঃ জলিলের পুত্র শেখ আবু বক্কর সিদ্দিকীকে পার্শ্ববর্তি বাড়ির মোঃ তারা মিয়া তার স্ত্রী রেণুবেগমকে বাদী করে মেয়ে রানী বেগমকে ধর্ষণ করেছে এমন অভিযোগ এনে গত ২৬/০২/২০১৮ তারিখ ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধনী ২০৩) এর ৯(১)/৩০ ধারায় মামলা দায়ের করে।
সরোজমিনে এলাকায় গিয়ে জানা যায়, উপরোক্ত মামলাটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এলাকাবাসী জানান, আসামীর বাবা মুক্তিযোদ্ধা আঃ শেখ জলিল ও মামলার বাদীনীর স্বামী মোঃ তারা মিয়া মামাতো-ফুপাতো ভাই। এর পূর্বেও মোঃ তারা মিয়া মুক্তিযোদ্ধা শেখ আঃ জলিলদের নামে একটি মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা করেছিল। পুলিশ তদন্ত করে মিথ্যা প্রমানিত হওয়ায় মামলাটি বাতিল করে দেয়।
এলাকাবাসী আরো জানান, জমিজমা সংক্রান্ত দ্বন্দ্বের কারণে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে তারা মিয়া একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে।
এ বিষয়ে গত ৩ মার্চ এলাকার চেয়ারম্যান আজাদ খান, আওয়ামী লীগের নেতা আনোয়ার আলী, যুবলীগের সহ-সভাপতি মুরাদ হোসেন, সালিশ বোর্ডের মিনা মোল্লাসহ প্রায় শতাধীক গণ্যমান্য ব্যক্তিরা শালিশে বসেন। ওই সালিশ বোর্ডে তারা মিয়া জানান, ধর্ষণ মামলাটি মিথ্যা, আমার জমি জমা শেখ আঃ জলিল দখল করে রেখেছে বিধায় আমি এই মিথ্যা মামলাটি করেছি। আমার জমি ছেড়ে দিলে মামলা প্রত্যাহার করে নেব। সালিশ বোর্ড উভয় পক্ষের জমির কাগজপত্র-দলিলাদি পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে এবং মাপ-ঝোপ করে সীমানা নির্ধারণ করে দেন।
সালিশের সিদ্ধান্ত তারা মিয়া মেনে নিলেও তারপরও ক্ষ্যান্ত হননি। সালিশের পরদিন থেকেই মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে অন্য মামলায় ফাসিয়ে দেওয়া ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে বলে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারটি জানান।
এখন মুক্তিযোদ্ধা শেখ আঃ জলিল নিরাপত্তাহীনতা ভুগছে। যেকোনো সময় তারা মিয়া গংরা তার বাড়িতে হামলা চালাতে পারে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস