বাংলা৭১নিউজ, আবুল হাসান সোহেল, মাদারীপুর প্রতিনিধি: মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম, দুর্নীতি ও অসদাচরনের অভিযোগ এনে দলিল লেখক সমিতি ২৭ নভেম্বর থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য কর্ম বিরতি পালন করছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ জমি দাতা গ্রহিতারা। সে সাথে সরকারও লাখ লাখ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে।
মঙ্গলবার সকালে লিখিত অভিযোগে দলিল লেখকরা জানায়, রাজৈর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার তনু রায় এর দৃষ্টিকটু অসদাচরনেরর পাশাপাশি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকা সত্বেও অতিরিক্ত টাকা ছাড়া দলিল সম্পাদন করে না। আইডি কার্ড বা পর্চায় সামান্য ত্রুটি থাকলেতো প্রবল বাধার মুখে পড়তে হয়। তবে পিছনের দরজায় তার অফিসের লোকদের মাধ্যমে কথা বললে ঐকাজটিও সম্পাদন হয়ে যায়।
অভিযোগে আরো জানা যায়, দলিলে সামান্য ভুলত্রুটি থাকলে পিয়ন আরিফ হাওলাদার ও টিসি মহরার মমতাজের মাধ্যমে দলিল ঠিক করে দেয়ার নামে উৎকোচ দাবী করে। প্রতিটি দান কবলায় পাঁচ হাজার টাকা, আমমোক্তারনামা দলিলে চার হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ দাবী করে। এ ছাড়াও বিভিন্ন অনিয়ম দূর্নীতির কারনে সাধারন দাতা গ্রহিতারা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
কয়েকজন জমি দাতা গ্রহিতারা বলেন, কত দূর থেকে এসেছি জমি ক্রয় – বিক্রয় করতে। এখন দেখি দলিল লেখা বন্ধ রয়েছে। এর ফলে অনেক মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছে। আমরা দ্রুত এর সমাধান চাই।
রাজৈর উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি মেহেদী হাসান তোতা মিয়া জানান, ২৭ নভেম্বর থেকে আমরা কলম বিরতি পালন করছি । এ সাবরেজিষ্টার বদলী না হওয়া পর্যন্ত কলম বিরতি চলবে।
এ ব্যাপারে রাজৈর সাব-রেজিস্ট্রার তনু রায় জানায়, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা । বরং আমি অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধ করতে গিয়ে নিজেই চরম হয়রানির শিকার হচ্ছি। দলিল সম্পাদনে তাদের (দলিল লেখক) বিধি বর্হিভূত অন্যায় দাবী মানতে বাধ্য করতেই উল্টা অভিযোগ এনেছে।
এ ব্যাপারে রাজৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহানা নাসরিন জানান, চলমান অচলাবস্থা নিরসনে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস