রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ১০:০৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
টানা ৮ দফা কমার পর ফের বাড়লো সোনার দাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সরকারের পাতানো ফাঁদ: আব্বাস আশুগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ২ ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ এবি ব্যাংকের লভ্যাংশ ঘোষণা রূপালী ব্যাংকের ঢাকা উত্তর বিভাগীয় ব্যবসায়িক সম্মেলন অনুষ্ঠিত রোববার দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা স্বাধীন ফিলিস্তিন ইস্যুতে সমাবেশের ডাক ছাত্রলীগের ৮ মের উপজেলা নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে যে নির্দেশনা দিল ইসি ফের বাংলাদেশে আশ্রয় নিলো মিয়ানমারের ৪০ বিজিপি সদস্য ট্রেন সার্ভিসের মাধ্যমে রাজধানীর চাপ কমে আসবে: চিফ হুইপ মৌলভীবাজারে পুলিশের বাধায় ছাত্রদলের মিছিল পণ্ড প্রেমের ফাঁদে ফেলে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা আদায়, গ্রেফতার ৭ পদ্মা-মেঘনায় মিলছে না ইলিশ, হতাশ জেলেরা ‘উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব খাটালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’ উত্তরায় লেক থেকে দুই স্কুল শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার রাশিয়ার সাথে সম্ভাব্য সংঘাতের প্রস্তুতি নিচ্ছে ন্যাটো : মস্কো খিলগাঁওয়ে রিকশাচালকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার ১৪ দিন পর ডেঙ্গুতে শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু হাসপাতালের ভবনের ফাঁক দিয়ে পড়ে রোগীর মৃত্যু রোববার থেকে আপিল বিভাগের দুটি বেঞ্চে চলবে বিচারকাজ

মাটির ঘরে লেখাপড়া করতে চায় না শিক্ষার্থীরা

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ১৭ জুলাই, ২০১৮
  • ২২০ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, মোঃ আবু মুসা, জয়পুরহাট প্রতিনিধি: শ্রেণিকক্ষ স্বল্পতায় মাটির ঝুঁকিপূর্ণ ঘরে লেখাপড়া করছেন জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের দুলালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এই বিদ্যালয়ে চার কক্ষের একটি আধাপাকা ভবন রয়েছে। পাশেই ভাঙাচোরা তিন কক্ষের একটি মাটির ঘর। আধাপাকা ঘরের চার কক্ষের একটিতে অফিস। অন্য তিনটির একটিতে প্রাক-প্রাথমিকের ক্লাস নেওয়া হয়। বৃষ্টি হলেই সেই আধাপাকা ঘরের টিনের চালা দিয়ে পানি পড়ে। শ্রেণিকক্ষের সংকটের কারণে মাটির ঝুঁকিপূর্ণ ঘরেই চলছে পড়াশুনা। মাটির ঘরটি যেকোনো সময় ভেঙ্গে শিক্ষক শিক্ষার্থী হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৩৭ বছর আগে ১৮৮০ সালে দুলালী গ্রামে এই প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। পরে ১৯৮৮ সালে সরকারি উদ্যোগে মাটির ঘরের এক পাশে চার কক্ষের একটি আধাপাকা ঘর নির্মাণ করা হয়। কিন্তু আধাপাকা ঘরটিতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শ্রেণিকক্ষ না থাকায় শিক্ষার্থীদের মাটির ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটিতে পড়াশুনা করানো হচ্ছে। অথচ দীর্ঘদিনেও বিদ্যালয়টিতে নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়নি। বিদ্যালয়ের যে আধাপাকা ঘরটি রয়েছে তার টিনের চালায় মরিচা ধরে অসংখ্য ছিদ্র তৈরি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই টিনের চালা দিয়ে অফিস ও শ্রেণিকক্ষে পানি পড়ে বই-খাতা ভিজে যায়। এ কারণে বর্ষা মৌসুমে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যেতে চায় না।

দুলালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাহেনা বেগম বলেন, ‘আধাপাকা ঘরটিতে চারটি কক্ষ রয়েছে। এরমধ্যে একটি ছোট অফিস কক্ষ, একটি প্রাক-প্রাথমিকের শ্রেণিকক্ষ। বাকি দুটি প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির কক্ষ। মাটির ঘরটিতে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির পাঠদান করা হয়। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে আধাপাকা ঘরের টিনের চালা দিয়ে পানি পড়ায় অফিস কক্ষে রাখা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ভিজে যায়। ফলে অফিস কক্ষের জিনিসপত্র সরিয়ে নিতে হয়। এছাড়াও মাটির ঘরগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এলাকার লোকজন তাদের ছেলেমেয়েদের এই স্কুলে ভর্তি করাতে চায় না।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাদিরুজ্জামান বলেন, ‘গোপীনাথপুর ইউনিয়নের দুলালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন ভবন করা দরকার। বিদ্যালয়টির নতুন ভবনের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে তালিকা প্রেরণ করা হয়েছে। তবে এখনও কোন বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com