বাংলা৭১নিউজ, শাহরিয়ার শাকির শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে সামান্য বাতাস বইলে কিংবা বৃষ্টি শুরু হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে। এতে গ্রাহকসহ সাধারণ মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে হালকা বাতাস ও একই সঙ্গে বৃষ্টি শুরু হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত বুধবার দুপুর ১টার পর্যন্ত বিদ্যুৎ সঞ্চালন বন্ধ ছিল। দীর্ঘ সময় বিদুৎ সরবরাহ ও জেনারেটর না থাকায় উপজেলা স¦াস্থ্য কমপ্লেক্স পানি শূণ্য হয়ে পড়ে।
এতে ভর্তিকৃত রোগী ও তাদের স্বজনেরা চরম দুভোর্গে পড়ে। এছাড়া পর্যাপ্ত পানি সরবারাহ না থাকায় ময়লা ও দুর্গন্ধে ভাসে হাসপাতালের শৌচাগার গুলো। মাঝে মধ্যেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় এমন ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
পিডিবি’র আবাসিক কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় প্রায় ১৭০ কিলোমিটার বিদ্যুৎ লাইন আছে। মাটিয়া পাড়া উপকেন্দ্রের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। এর আওতায় গ্রাহক আছে প্রায় ১০ হাজার।
বিদ্যুৎকর্তৃপক্ষের দাবি, এ উপজেলার সিংগভাগ বিদ্যুৎলাইন সড়কের পাশে গাছপালার ভেতর দিয়ে টানা হয়েছে। এ জন্য ঝোড়ো হাওয়া বা বৃষ্টির আভাস পাওয়া গেলে নিরাপত্তার কারণেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করতে হয়। স¦াস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি থাকা রোগী মো. সোরহাব বলেন, বাতাস ও বৃষ্টি শুরুর সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ চলে গেছে। সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রসাব-পায়খানায় ব্যবহারের জন্য পানি নেই। ফলে মসজিদ থেকে পানি এনে শৌচাগারে পানি ব্যবহার করতে হয়েছে।
এদিকে গৃহিণী ফারজানা বলেন, নানা অজুহাতে প্রায় সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হয়। এ কারণে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটছে। মাঝে মধ্যেই রেফ্রিজারেটরে রাখা মাছ ও মাংস নষ্ট হয়ে যায়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু হাসান শাহিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রাত থেকে বিদ্যুৎ সরাবরাহ না থাকায় হাসপাতাল পানি শূণ্য হয়ে পড়েছে।
পানি না থাকলে রোগীসহ আমাদের সবাইকে দুর্ভোগে পড়তে হয়। এব্যাপারে পিডিবি’র ঝিনাইগাতী আবাসিক প্রকৌশলী মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, শেরপুর সদরের বাজিতখিলা এলাকায় ৩৩ কেভি লাইন ত্রুটি হওয়ায় বিদ্যুত সঞ্চালন বন্ধ আছে। মেরামতের কাজ চলছে। কাজ শেষ হলেই লাইন চালু হবে। এছাড়া ঝোড়ো হাওয়া বা বৃষ্টির আভাস পাওয়া গেলে নিরাপত্তার কারণেই শেরপুর গাজীর খামার বিদ্যৃৎ সরবারহ কেন্দ্র থেকে লাইন বন্ধ করা হয়।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস